এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এসএসকেএমে ভর্তি রয়েছেন বর্ষীয়ান পরিচালক তরুণ মজুমদার। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এ দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার রাইলস টিউব খোলা হয়েছে তাঁর। পাশাপাশি আগের থেকে একটু ভাল আছেন বলেই জানা যাচ্ছে হাসপাতাল সূত্রে। তবে বিপদ এখনও কাটেনি। স্থিতিশীল হলেও সঙ্কটজনক প্রবীণ পরিচালক, ভর্তি রয়েছেন সিসিইউতেই।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে তাঁর তন্দ্রাচ্ছন ভাব এখন আগের থেকেই অনেকটাই কেটেছে। এমনকি ডাকলেও সাড়া দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর মস্তিষ্কে স্ট্রোক হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য এমআরআই করারও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানা আগিয়েছে। তবে এখনই তাঁকে বিপ্নমুক্ত বলা চলে না। কিডনির সমস্যা এখনও চিকিৎসকদের ভাবাচ্ছে। তাঁর দেখভালের জন্য রয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পাঁচ সদস্যর একটি দল। নেফ্রোলজি, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ও মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁর পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
এর আগে হাসপাতাল সূত্রেই জানা গিয়েছিল, শুক্রবার (২৪.০৬.২০২২) অতি সঙ্কটজনক হয়ে পরেছিল পরিচালকের শারীরিক অবস্থা। প্লেটলেটের পরিমাণ কমে হয়েছিল ৪১ হাজার। শনিবার তা সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় ৫১ হাজার। তবে স্বস্তির খবর এটাই ছিল যে, সেই দেহে প্লেটলেটের পরিমাণ বাড়ছিল। বুকে নিউমোনিয়া বাসা বাঁধায় দুটি ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছিল। তাতে জল জমেছে বলেও জানাচ্ছিলেন চিকিৎসকেরা। সব মিলিয়ে অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছিল। তবে আপাতত তিনি সুস্থ হচ্ছেন বলেই সাম্প্রতিক খবরে জানা গিয়েছে।
বাংলা সিনেমার দুনিয়ায় কিংবদন্তি পরিচালকের অবদান রয়েছে অনেকখানি। ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে পাঁচটি জাতীয় পুরস্কার। ‘বালিকা বধূ’, ‘কুহেলি’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘গণদেবতা’, ‘আলো’র মতো একের পর এক সুপারহিট সিনেমা তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৯১ বছর। কিছু দিন আগেও এক তথ্যচিত্রের রেকির জন্য ঘুরে এসেছিলেন পুরুলিয়া। হাজির হয়েছিল অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ দেখতেও। তাঁর সুস্থ হয়ে বাড়ির ফেরার অপেক্ষায় আট থেকে আশি।