ইয়াসের (Cyclone Yaas) তাণ্ডব শুরু হতে এখনও বেশ কিছুটা সময় রয়েছে। কিন্ত তার আগে মঙ্গলবারই উত্তাল হতে শুরু করেছে সমুদ্র। তাজপুর, দিঘা সংলগ্ন একাধিক গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। অনেক জায়গায় কংক্রিটের বাঁধ টপকে জল ঢুকছে বলে দাবি স্থানীয়দের। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, সাইক্লোন যত এগিয়ে আসবে, ততই বাড়বে জলোচ্ছ্বাসের পরিমাণ। এরই মধ্যে নিজের কেন্দ্র পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডীপুরের মানুষদের জন্য আগাম সতর্কতা অভিনেতা-বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর।
ঝড়ের তাণ্ডব সামাল দিতেই আগে থেকেই রিলিফ সেন্টার ঘুরে দেখলেন তিনি। পাশাপাশি চণ্ডীপুরের বাসিন্দারদের সুরক্ষিত রাখতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দাকে রিলিফ সেন্টারে সরিয়ে নিতেও উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। চলছে মাইকিং এবং নিজের এলাকা পরিদর্শন। তবে এ সবের মধ্যেই করোনার হানাকে অগ্রাহ্য করা চলে না। সে কারণেই ভগবানপুরে সোমবারই অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটরসহ সেফ হোম চালু করেছেন এই সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক। আতঙ্কিত না হয়ে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান তাঁর। মাঠে নেমেই সোহমের এই বার্তায় খুশি চন্ডীপুরের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উপকূলের জেলা ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে। এদিনই দুপুরে ওড়িশার বালেশ্বরের দক্ষিণের কাছে আছড়ে পড়ার কথা অতি সক্রিয় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের। এখনও অবধি ইয়াসের যা গতিবিধি তাতে বাংলা হয়ত অনেকটাই রক্ষা পাবে। তবে ঝড়-জলের তাণ্ডব থেকে যে রাজ্য মুক্ত এমনটা বলা যাবে না। অন্যদিকে জল ছাড়তে পারে ডিভিসি। তেমনটা হলে বাড়বে বিপদ।