করোনার সময় তাঁরাই ছিলেন সমাজের মসিহা। রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে তাঁদের প্রাণও গিয়েছিল। সকলে তাঁদের নাম দিয়েছিল ‘কোভিড ওয়ারিয়ার্স’। কিন্তু মাস খানেক আগেও দেখা গেল এই চিকিৎসকরাই আক্রান্ত হচ্ছেন রোগীর পরিবারের কাছে। হাসপাতাল ভাঙচুর চলছে। চিকিৎসকদের ধরে-ধরে মারা হচ্ছে। চিত্রটি যদিও নতুন নয়। আগেও এমনটা ঘটেছে। রোগীর মৃত্যুতে আক্রান্ত হয়েছেন ‘মসিহা’রাই। তাঁরাও নিঃশব্দে প্রতিবাদ করেছেন। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির নজির গড়ে উঠেছে আমাদের সমাজে। এবার তাঁরাই তৈরি করলেন একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি। যার নাম ‘সিদ্ধান্ত: দ্য ডিসিশন’। ডাক্তারদের এক জোট হয়ে তৈরি করা সংগঠন ‘প্রোটেক্ট দ্য ওয়ারিয়ার্স’ প্রযোজনা করেছেন এই ছবির। গল্প লেখা, গান গাওয়া, অভিনয়, সম্পাদনা, প্রযোজনা – সব দায়িত্বই ভাগাভাগি করে পালন করেছেন চিকিৎসকরা। আসলে নিজেদের যন্ত্রনার কথা নিজেরাই বলতে চেয়েছেন। এমন ঘটনা আর আগে ঘটেনি। চিকিৎসকদের প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছে সিনেমা। ছবি পরিচালনা করেছেন পার্থ সারথী জোয়ারদার। ছবির ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে TV9 বাংলার অফিসে এসেছিলেন ডাক্তারবাবুরা।
ছবির মূল ভাবনা ডঃ অভীক ঘোষের। তিনি কনসালট্যান্ট ইএনটি সার্জেন। ছবি তৈরির চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন মাস তিনেক আগে। করোনার সময় ২৫জন চিকিৎসক বন্ধু মিলে ‘প্রোটেক্ট দ্য ওয়ারিয়ার্স’ সংগঠনটি শুরু করেছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সারা বাংলা থেকে ২,৫০০জন চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এ পর্যন্ত। অভীক বলেছেন, “কেবল ডাক্তারি নয়, আরও অনেক কাজ করছি আমরা। সমাজের অন্যান্য আঙ্গিকে যাতে আমরা কাজ করতে পারি, সেটা নিয়েও ভাবনা চিন্তা করছি। সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই ছবিটি তৈরি করেছি আমরা।”
ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং সেটি প্রযোজনা করেছেন সিনিয়ার ইউরোলজিস্ট ডঃ অমিত ঘোষ। তাঁর কথায়, “এখন প্রচুর পেশা তৈরি হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসা পেশার অন্যান্য দিকও রয়েছে। চিকিৎসকরা সমাজের অভিন্ন অঙ্গ। প্রায় ৪০ বছর ধরে ডাক্তারি করছি। অনেককিছু মতো ডাক্তারি বিষয়টাও পাল্টে গিয়েছে। পাল্টেছে আমাদের সমাজও।”
এই ছবির গল্প লিখেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডঃ দ্বৈপায়ান মজুমদার। কোন ভাবনা থেকে তিনি এই ছবি তৈরি করলেন? উত্তরে বলেছেন, “অভীক আমাকে এরকম একটা বিষয় নিয়ে গল্প লিখতে বলেন। প্রথমে ভেবেছিলাম ছবিটা হবে না। কিন্তু গল্পটা লিখে ওকে পাঠিয়েছিলাম। এখানে আমি ডঃ অমিত ঘোষের সঙ্গে সহমত। আমি মফস্বলের ছেলে। আমাদের ওখানে কিন্তু ডাক্তাররা চিকিৎসা ছাড়াও সমাজের অনেক দায়ভার বহন করতেন। তাঁরা কেউ মারা গেলে গোটা গ্রাম ও আশপাশের গ্রাম ভেঙে পড়ত।”
দেখুন TV9 বাংলাকে আর কী-কী বলেছেন চিকিৎসকরা:
করোনার সময় তাঁরাই ছিলেন সমাজের মসিহা। রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে তাঁদের প্রাণও গিয়েছিল। সকলে তাঁদের নাম দিয়েছিল ‘কোভিড ওয়ারিয়ার্স’। কিন্তু মাস খানেক আগেও দেখা গেল এই চিকিৎসকরাই আক্রান্ত হচ্ছেন রোগীর পরিবারের কাছে। হাসপাতাল ভাঙচুর চলছে। চিকিৎসকদের ধরে-ধরে মারা হচ্ছে। চিত্রটি যদিও নতুন নয়। আগেও এমনটা ঘটেছে। রোগীর মৃত্যুতে আক্রান্ত হয়েছেন ‘মসিহা’রাই। তাঁরাও নিঃশব্দে প্রতিবাদ করেছেন। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির নজির গড়ে উঠেছে আমাদের সমাজে। এবার তাঁরাই তৈরি করলেন একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি। যার নাম ‘সিদ্ধান্ত: দ্য ডিসিশন’। ডাক্তারদের এক জোট হয়ে তৈরি করা সংগঠন ‘প্রোটেক্ট দ্য ওয়ারিয়ার্স’ প্রযোজনা করেছেন এই ছবির। গল্প লেখা, গান গাওয়া, অভিনয়, সম্পাদনা, প্রযোজনা – সব দায়িত্বই ভাগাভাগি করে পালন করেছেন চিকিৎসকরা। আসলে নিজেদের যন্ত্রনার কথা নিজেরাই বলতে চেয়েছেন। এমন ঘটনা আর আগে ঘটেনি। চিকিৎসকদের প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছে সিনেমা। ছবি পরিচালনা করেছেন পার্থ সারথী জোয়ারদার। ছবির ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে TV9 বাংলার অফিসে এসেছিলেন ডাক্তারবাবুরা।
ছবির মূল ভাবনা ডঃ অভীক ঘোষের। তিনি কনসালট্যান্ট ইএনটি সার্জেন। ছবি তৈরির চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন মাস তিনেক আগে। করোনার সময় ২৫জন চিকিৎসক বন্ধু মিলে ‘প্রোটেক্ট দ্য ওয়ারিয়ার্স’ সংগঠনটি শুরু করেছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সারা বাংলা থেকে ২,৫০০জন চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এ পর্যন্ত। অভীক বলেছেন, “কেবল ডাক্তারি নয়, আরও অনেক কাজ করছি আমরা। সমাজের অন্যান্য আঙ্গিকে যাতে আমরা কাজ করতে পারি, সেটা নিয়েও ভাবনা চিন্তা করছি। সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই ছবিটি তৈরি করেছি আমরা।”
ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং সেটি প্রযোজনা করেছেন সিনিয়ার ইউরোলজিস্ট ডঃ অমিত ঘোষ। তাঁর কথায়, “এখন প্রচুর পেশা তৈরি হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসা পেশার অন্যান্য দিকও রয়েছে। চিকিৎসকরা সমাজের অভিন্ন অঙ্গ। প্রায় ৪০ বছর ধরে ডাক্তারি করছি। অনেককিছু মতো ডাক্তারি বিষয়টাও পাল্টে গিয়েছে। পাল্টেছে আমাদের সমাজও।”
এই ছবির গল্প লিখেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডঃ দ্বৈপায়ান মজুমদার। কোন ভাবনা থেকে তিনি এই ছবি তৈরি করলেন? উত্তরে বলেছেন, “অভীক আমাকে এরকম একটা বিষয় নিয়ে গল্প লিখতে বলেন। প্রথমে ভেবেছিলাম ছবিটা হবে না। কিন্তু গল্পটা লিখে ওকে পাঠিয়েছিলাম। এখানে আমি ডঃ অমিত ঘোষের সঙ্গে সহমত। আমি মফস্বলের ছেলে। আমাদের ওখানে কিন্তু ডাক্তাররা চিকিৎসা ছাড়াও সমাজের অনেক দায়ভার বহন করতেন। তাঁরা কেউ মারা গেলে গোটা গ্রাম ও আশপাশের গ্রাম ভেঙে পড়ত।”
দেখুন TV9 বাংলাকে আর কী-কী বলেছেন চিকিৎসকরা: