নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। সূত্রের খবর, তাঁকে জেরা করে একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। সূত্রের খবর, টলি পাড়ার সব থেকে বড় সংগঠন EIMPA (ইস্ট ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোশিয়েশন)-র নির্বাচনে নাকি টাকা খরচ করেছেন কুন্তল। অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের মা পিয়া সেনগুপ্ত আবার ওই সংস্থার সভাপতি। টলিপাড়ার বিভিন্ন সূত্র এর আগে দাবি করেছিল, পিয়া সেনগুপ্তকে নির্বাচিত করার জন্য কুন্তল নিজে উপস্থিত ছিলেন ওই সংগঠনে। সেই সঙ্গে প্রচুর টাকাও খরচ করেছিলেন তিনি। এবার এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এক প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করা হল ইম্পার তরফে।
ইম্পার তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই সংস্থার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। বিবৃতিতে লেখা হয়, “ইম্পার সদস্যদের তরফে পরিষ্কার ভাবে জানান হচ্ছে, কোনও ব্যক্তি বা দলকে ইম্পার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা উচিৎ নয়। সাম্প্রতিক তদন্ত নিয়ে ইম্পার কোনও মাথাব্যথা নেই। কারণ ইম্পা একটি অলাভজনক সংস্থা। ইম্পা একটি স্বতন্ত্র সংস্থা। ইম্পার বিরুদ্ধে যে কোনও ধরনের ভিত্তিহীন গুঞ্জন এই সংস্থার মানহানির সমান।” একই সঙ্গে ইম্পার তরফে এও দাবি করা হয়, বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে যে তদন্ত চলছে সেই দায়ও তাদের উপর বর্তায় না।
এর আগে কুন্তলের সঙ্গে নাম জড়ানোয় মুখ খুলেছিলেন পিয়া সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, “কুন্তল তো EIMPA-র সদস্যই নয়। ও যখন বনিকে দিয়ে ছবি করাবে বলেছিল আমি তখন জানাই আপনি EIMPA-র সদস্যপদ গ্রহণ করুন। ও মেম্বার হয়নি। একজন নন-মেম্বারের পক্ষে নির্বাচন করানো কখনই করানো সম্ভব নয়। যে মানুষটা EIMPA পাতে দেয় নাকি ভাতে দেয় জানে না সে কেন টাকা দেবে? আজকে এতজন আমায় ভোট দিয়ে এইখানে নিয়ে এসেছেন। এই ধরনের কথা বলে তাঁদের ছোট করা হচ্ছে। আর এই টাকা যে কুন্তল দিয়েছে সেটা কি উনি বলেছে? সূত্রের খবর বলে ভুয়ো বার্তা ছড়ানো হচ্ছে।”