একজন বসিরহাটের সাংসদ, অন্যজন যাদবপুরের। দুজনের বয়সও কাছাকাছি। ইন্ডাস্ট্রিতে জার্নি প্রায় একই সময়ে শুরু। এক সময় তাঁদের বন্ধুত্ব কার্যত উদাহরণ হিসেবে দেখানো হত টলিপাড়ায়। ভালবেসে দুজন দুজনকে ডাকতেন ‘বোনুয়া’ বলে। কথা হচ্ছে নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তীর। তবে বিগত এক বছরে টলিপাড়ার গুঞ্জন মিমি ও নুসরতের সেই বন্ধুত্বে নাকি ধরেছে ভাঙন? যোগাযোগ নষ্ট না হলেও সেই আগের ভালবাসা নাকি আর নেই! শোনা গিয়েছিল, নুসরতের জীবন জুড়ে বিতর্ক ও অন্যান্যা ‘বোনুয়া’দের আগমনেই নাকি খুশি নন মিমি। তবে এ সব যে শুধুই রটনা এবার সে প্রমাণ দিলেন বসিরহাটের সাংসদের সঙ্গী যশ দাশগুপ্ত।
কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের মেয়ের জন্মদিনে হাজির ছিলেন দুজনেই। হাজির ছিলেন যশও। সেখানেই গলা জড়িয়ে, হাসি হাসি মুখে ছবি তুললেন নুসরত-মিমি। সেই পুরনো বোনুয়া ম্যাজিক যেন আবার এল ফিরে। ছবি শেয়ার করেছেন যশই। সেই ছবি আবার রি-পোস্ট করেছেন নুসরত। যশ লিখেছেন, ‘দিজ বন্ড’। অর্থাৎ দুজনের এই বন্ধুত্ব যে খন্ডন করা যায় না, যাবেও না কোনওদিন সে ইঙ্গিতই যেন যশ দিয়েছেন তাঁর পোস্টে। স্বস্তিতে দুই সুন্দরীর ভক্তরাও। ভুল বোঝাবুঝি যদি হয়েও থাকে, আপাতত সবই যে নিয়ন্ত্রণে এও বা কম কীসের?
নুসরত অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন মিমির থেকেও তাঁর সঙ্গে তনুশ্রী ও শ্রাবন্তীকে দেখা গিয়েছিল বেশি। এমনকি তাঁর বেবিবাম্পের যে ছবি ভাইরাল হয়ে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল, সেই ফ্রেম জুড়েও ছিলেন ওঁরাই। শ্রাবন্তীর রিউমারড প্রেমিক, তনুশ্রীর প্রাক্তন প্রেমিক, যশ-নুসরতকে একসঙ্গে মাঝেমধ্যেই পার্টিও করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু মিমিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি সে সময়। তবে যশ-নুসরতের ছেলের জন্মের পর উপহার পাঠিয়েছিলেন মিমি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারেও দরাজ গলায় করেছেন বন্ধুর প্রশংসা। সব যে ঠিকই আছে তাঁদের মধ্যে এই ছবি যেন সে কথাই বলে দিচ্ছে আরও একবার।
নিজের জীবন নিয়ে বরাবরই গোপনীয়তা বজায় রাখেন মিমি। অন্যদিকে নুসরতের জীবন যেন খোলা পাতা। ট্রোলারদেরও তিনি ভীষণ পছন্দের। যদিও নেতিবাচকতাকে পাত্তা না দিয়েই এগিয়ে যেতে চান নুসরতের। সঙ্গে যশ-মিমির মতো কাছের মানুষ তো রয়েইছেন।