বেশ কিছু দিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি আছেন তরুণ মজুমদার। চিকিৎসকেরা বলছেন, স্থিতিশীল হলেও তরুণবাবুর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। আজ শুক্রবার কেমন আছেন তরুণ মজুমদার? হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, মস্তিষ্কের সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা আরও কমেছে গত ২৪ ঘণ্টায়। দিতে হচ্ছে T-Piece সাপোর্টও। সূত্রের খবর, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মাল্টি অর্গান।যদিও ভেন্টিলেশন সাপোর্ট এড়ানোর যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উদ্বেগও।
বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও (২৪.০৬.২০২২) ডায়ালিসিস হয়েছে তরুণবাবুর। বৃহস্পতিবার দু’ঘণ্টা মাত্র ডায়ালিসিস করা সম্ভব হয়েছিল। শুক্রবার চার ঘণ্টা পূর্ণ মাত্রায় ডায়ালিসিস হয়েছে তরুণবাবুর। ক্রিয়েটিনিন-এর মাত্রা কিছুটা কমলেও তা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। দ্বিতীয় দফার ডায়ালিসিসের পর রোগীর শারীরিক অবস্থা কেমন থাকে, সে দিকে নজর রাখছেন মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকেরা। প্লেটলেট কম রয়েছে তরুণবাবুর শরীরে। গলার জায়গায় রক্তক্ষরণও হচ্ছে। দু’টি কিডনিই যেখানে সমস্যা তৈরি করেছে, সে ক্ষেত্রে এটি স্বাভাবিক ঘটনা বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। শারীরিক অবস্থার এই দোলাচল খতিয়ে দেখে মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকেরা বলছেন, তরুণবাবুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল কিন্তু সঙ্কটজনক।
এর আগে জানা গিয়েছিল, পরিচালকের ড্রাউজিনেস বা তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাবই চিকিৎসকদের উদ্বেগে রাখছে। এ দিন জানা গিয়েছে, সেই ভাব খানিক হলেও কেটেছে, তবে কিডনির সমস্যার পাশাপাশি আরও এক চিন্তার বিষয় পরিচালকের শরীরে বাসা বাঁধা আর রোগ সেপ্টিসেমিয়া। চলছে তারও চিকিৎসা। আপাতত পরিচালককে রক্ত দেওয়া হচ্ছে না বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এ দিনই এসএসকেমে পরিচালকের খোঁজখবর নিতে সকালে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে চিকিৎসকদের সঙ্গেও তাঁর দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। আপাতত পরিচালকের সুস্থতা কামনায় গোটা দেশ। গঠিত হয়েছে বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ডও।
বাংলা সিনেমার দুনিয়ায় কিংবদন্তি পরিচালকের অবদান রয়েছে অনেকখানি। ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে পাঁচটি জাতীয় পুরস্কার। ‘বালিকা বধূ’, ‘কুহেলি’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘গণদেবতা’, ‘আলো’র মতো একের পর এক সুপারহিট সিনেমা তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৯২ বছর। কিছু দিন আগেও এক তথ্যচিত্রের রেকির জন্য ঘুরে এসেছিলেন পুরুলিয়া। হাজির হয়েছিল অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ দেখতেও। তাঁর সুস্থ হয়ে বাড়ির ফেরার অপেক্ষায় আট থেকে আশি।