সদ্য বিবাহ বিচ্ছেদের খবর সামনে এসেছে জিতু কামালের, তারপর থেকেই টলি পাড়ায় তর্জা তৈরি। এই জুটির মধ্যে থাকা এত মিষ্টি সম্পর্ক কীভাবে এই পর্যায় যেতে পারে, তার উত্তর খুঁজছে নেটপাড়া। তাঁদের মধ্যে দূরত্ব যেন কখনও-ই প্রকাশ্যে আসেনি বা তাঁরা হয়তো আসতে দেননি, তবে খবর যেন অবিশ্বাস্য। হঠাৎই বৃহস্পতিবার বিবাহ বিচ্ছেদের খবর জানিয়ে বসেন নবনীতা। তারপর থেকেই জিতুর আদরে ভরা পোস্ট দর্শক মনে প্রশ্ন তুলেছিল, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, তোমায় শুরুতেও আগলেছি, আজও আগলাবো..আগামীতে তাই করবো….বাচ্চা বউ, মিডিয়া বন্ধুদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, একটু বোঝো তোমরা। যদিও বিবাহ বিচ্ছেদের খবরে সিলমোহর দিয়েছেন খোদ নবনীতা, জানিয়েছেন আইনি পদক্ষেপও করা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে।
অথচ জিতুর সোশ্যাল মিডিয়া চোখ রাখলে তেমনটা একেবারেই মনে হচ্ছে না। তিনি যেন এই খবর তুরি মেরে উড়িয়ে নবনীতাকে আগলে রাখার কথাই বারবার বোঝাতে চাইছেন। বৃহস্পতিবার দিনই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে যা লিখেছিলেন, তাতেই এক প্রকার স্পষ্ট। তার একদিন যেতে না যেতেই আবারও তিনি হাজির নবনীতার সঙ্গে পোস্ট নিয়ে। না, একাকী নবনীতা নয়, তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন জিতু কামাল নিজেও। হাত জোড় করে করছেন প্রার্থনা। এই ছবি দেখে মুহূর্তে নস্টালজিয়ায় ভাসলেন ভক্তরা। আবারও যেন এই জুটির এক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। কমেন্ট বক্সে কেউ লিখলেন, তোমাদের এভাবেই দেখতে চাই, কেউ আবার বিবাহ বিচ্ছেদের কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়েও দিলেন। যদিও তাঁদের ভেতরের সমীকরণ এমনটা বলছে না। তবে কেন জিতুর এই পোস্ট সে উত্তর খুঁজছে নেটপাড়া। নবনীতার সঙ্গে ছবি শেয়ার করে কমেন্ট বক্সে জিতু যা লিখলেন তা এক দীর্ঘ অর্থবহ। Namu Myōhō Renge Kyō, এটি একটি জাপানের প্রবাদ। যার বাংলা তরজমা করলে দাড়ায় , লোটাস সূত্রের ধর্মের মহিমা (Glory to the Dharma of the Lotus Sutra)।