“অতিমারির আবহে ভার্চুয়াল প্রোমোশন সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং”
আশা করছি, যত সময় এগোবে তত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ফিল্ম প্রোমোশন আরও সহজ হবে আমাদের কাছে।
বাংলা ছবির প্রোমোশনকে ইন্ডাস্ট্রিতে যাঁরা অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ। ফিল্ম প্রোমোশনের নতুন স্ট্র্যাটেজি নিয়ে TV9 বাংলা ডিজিটালের সঙ্গে এক্সক্লুসিভলি কথা বললেন এসভিএফ-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্র সোনি।
ছবির প্রোমোশনের ক্ষেত্রে সব সময়ই এসভিএফ নতুন কিছু পরিকল্পনা করেছে। আমাদের প্রোডাকশনের ছবির ইতিহাস দেখলেই দর্শক সেটা জানতে পারবেন। আমি বরং বলব, গত কয়েকমাসে প্রোমোশন স্ট্র্যাটেজি অনেকটাই বদলেছে। আরও নতুন করে ভাবতে হচ্ছে আমাদের।
আরও পড়ুন, প্রত্যেক ছবির গল্প আলাদা, তাহলে প্রোমোশন এক হবে কেন?
করোনা ভাইরাসে পৃথিবী আক্রান্ত হওয়ার পর অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। এই অতিমারির পরে ছবির প্রোমোশনের পরিকল্পনাতেও স্বাভাবিক ভাবেই বদল এসেছে অনেক। এখন আমরা ডিজিটাল প্রোমোশন নিয়ে অনেক বেশি ভাবনা-চিন্তা করছি। ডিজিটাল প্রোমোশনের একটা অন্য পথ খুলে গিয়েছে বলা যেতে পারে। আমাদের ডিজিটাল চ্য়ানেলের মার্কেটিংয়ের ধরন নিয়েও অনেক পরীক্ষার সুযোগ পেয়েছি।
সুরক্ষা বিধির কথা মাথায় রাখলে এখন সব কিছুই ডিজিটাল। এর আগে ছবির প্রোমোশন অনেক বড় করে হত। আমরা অনেক বড় ভাবে ভাবতাম। যেটা এখন একেবারে বদলে গিয়েছে। ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে ভাবতে হচ্ছে আমাদের। বিভিন্ন বিজ্ঞাপন, ফ্র্যাঞ্জাইজি, মিডিয়া, সাক্ষাৎকার সবই আলাদা করে পরিকল্পনা করতে হচ্ছে। ডিজিটাল প্রোমোশনে তো এগুলোর ওপর কোনও বিধি নিষেধ নেই। প্রোমোশনের ধরন বদলে গিয়েছে বলেই বাজেটও বেড়েছে অনেকটাই। অতিমারির আবহে এই ধরনের ভার্চুয়াল প্রোমোশন সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু আমার মনে হয়, এর মধ্যেও ভাল এটাই যে, প্রোমোশন থেমে নেই। ধরন বদলে গেলেও তা চলছে সমান তালে। বরং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম দর্শকদের কাছে পৌঁছনোর জন্য অনেক রাস্তা খুলে দিয়েছে নতুন করে। আশা করছি, যত সময় এগোবে তত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ফিল্ম প্রোমোশন আরও সহজ হবে আমাদের কাছে।