হাজার-হাজার কাজের ফাঁকে টুক করে ঘুরে গেলেন এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে। কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন নবান্নে যাবেন বলে। হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি ঢুকে যায় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই ভর্তি আছেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। হাসপাতাল সূত্র জানাচ্ছে, খুব একটা ভাল নেই প্রবীণ পরিচালক। বয়স হয়েছে ৯২ বছর। সেপ্টিসেমিয়া ধরা পড়েছে তাঁর। কিডনির অবস্থা ভাল নয়। ক্রিয়েটিনিন প্রায় ৬-এর কাছাকাছি। আজ বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা ঠিক করবেন ডায়ালিসিস হবে কি না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাড়ি থেকে নামেন এসএসকেএম-এ। উডবার্ন থেকে সরিয়ে পরিচালককে রাখা হয়েছে প্রধান বিল্ডিংয়ে। সেখানেই কর্তৃপক্ষের থেকে মমতা জানতে চান তরুণ মজুমদার এখন কেমন আছেন। খোঁজ খবর নেওয়া হয়ে গেলে আবার নিজের গাড়িতে উঠে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেন মমতা।
বুধবার রাতে, এসএসকেএম-এর উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় জটিলতা বেড়েছে পরিচালকের। রেনাল এনসেফ্যালোপাথি দেখা দিয়েছে। ক্রিয়েটিনিন মাত্রা বাড়ছে শরীরে। বুধবার ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ৫.৯, যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। অন্য জটিলতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়ালিসিস করা হতে পারে বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কিডনির জটিলতা বাড়ছে। এদিন মস্তিষ্কের সাড়া দেওয়ার প্রবণতা কিছুটা কমেছে।”
সোমবার (২০.০৬.২০২২) হঠাৎই অবস্থার অবনতি ঘটায় আজ তড়িঘড়ি ডাক্তারদের এই বিশেষ টিম গঠন করা হয়। পরিচালক রয়েছেন বর্তমানে অক্সিজেন সাপোর্টেই। রক্তচাপও কমেছিল বেশ কিছুটা। যদিও বর্তমানে তা স্বাভাবিক। স্বাস্থ্যের অবস্থা অনুযায়ী বৈঠক করেই পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বাংলা সিনেমার দুনিয়ায় কিংবদন্তি পরিচালকের অবদান রয়েছে অনেকখানি। ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে পাঁচটি জাতীয় পুরস্কার। ‘বালিকা বধূ’, ‘কুহেলি’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘গণদেবতা’, ‘আলো’র মত একের পর এক সুপারহিট সিনেমা তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন।