পরেছিলেন পেঁয়াজ রঙা শাড়ি, খোঁপা সাজিয়েছিলেন ফুল দিয়ে, কানে ঝুমকো, গলায় ছিল না হার, বসিরহাটের সাংসদ তখন যেন উৎসবে সামিল হওয়া আর পাঁচজন বাঙালির মতোই একেবারে সাধারণ। কখনও ফুচকায় কামড় আবার কখনও বা ঢাক বাজিয়ে পুজোয় মেতউঠলেন নুসরত জাহান। সঙ্গে ছিলেন যশ দাশগুপ্ত। ঘুরলেন মন্ডপে মন্ডপে, হাসি-হুল্লোড়ে জমে গেল অভিনেত্রী পুজো। কখনও যশের হাতে ক্যামেরা, মুঠোফোনে অভিনেতা বন্দি করলেন নিজেদের ছবি। ছেলে ঈশানকে যদিও দেখা যায়নি। তবে জুটিতে যে ভালই পুজো উপভোগ করছেন ছবিগুলিই যে সে কথা বলে দেয়…।
গত বছর পুজোর ঠিক আগেই মা হয়েছিলেন নুসরত। পুজোর সময়েই ছেলের ছবি শেয়ার করে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। এক ফ্রেমে তিনি যশ ও ঈশানকে দেখে চলেছিল নানা চর্চা। তবে তার চেয়েও চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল নুসরতে মাথায় সিঁদুরের চিহ্ন। তিনি ও যশ কি বিবাহিত উঠেছিল সে প্রশ্নও। বছর ঘুরতে যদিও সে বিতর্কও চাপা পড়ে গিয়েছে। নিখিলের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীনও পুজোর সময় চুটিয়ে মজা করতে দেখা গিয়েছেন নুসরতকে। যশের সঙ্গে সেই রঙিন জীবনেও যেন ফিরে দেখা একই ছবি।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শাঁখা-সিঁদুর পরা নিয়ে বারেবারেই কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে নুসরতকে। কিছুদিন আগেই জনৈক নেটিজেন তাঁকে প্রশ্ন করেন, “মুসলিম হয়েও কেন অমুসলিম বিয়ে করেছ”? উত্তর এড়িয়ে না গিয়ে নুসরতও পাল্টা লেখেন, “কোন জগতে বাস করেন আপনি? আপনি কি আদপে মানুষ”? ধর্ম নিয়েও কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে নুসরতকে। নিখিল জৈনের সঙ্গে ‘বৈবাহিক’ সম্পর্কে থাকাকালীন তাঁর শাঁখা-সিঁদুর পরে রাজ্যসভায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে হয়েছিল বিস্তর আলোচনা। সে সময় নুসরত বলেছিলেন, “আমি ভগবানের নিজের সন্তান”। নিখিলের সঙ্গে ‘অবৈধ’ বিয়ে, যশের সঙ্গে সন্তান– সব মিলিয়ে তাঁকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে বহুবারই। তবু নুসরত বলেছেন ইতিবাচকতার কথা। বলেছেন, ট্রোলিংকে পাত্তা না দিয়ে এগিয়ে যেতেই চান তিনি। মেতে উঠতে চান উৎসবের আনন্দে।