পার্নো মিত্র। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির তুরুপের তাস একঝাঁক তারকা প্রার্থীর মধ্যে যিনি ছিলেন অন্যম। বরনাগরের বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। যদিও জিততে পারেননি। দিতে পারেননি ভোটও। কারণ ভোটদানের আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন পার্নো।
ভোট অতীত। করোনাও সেরে গিয়েছে। পার্নোর সোশ্যাল ওয়ালে এখন শুধুই ‘আশা’র বাণী। কখনও সূর্যোদয়ের ছবি। আবার কখনও বা জানালার গরাদে হাত দিয়ে একমনে প্রকৃতি দেখছেন তিনি। সীমিত করা হয়েছে তাঁর ইনস্টাগ্রামের কমেন্ট সেকশন। অর্থাৎ যে কেউ চাইলেও ইনস্টাগ্রামে ঢুকে আর কমেন্ট করতে পারবেন না পার্নোকে।
তাঁর লেটেস্ট ছবিতে পার্নো লিখেছেন, “আশা…এই একটা জিনিসই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।” আর্জি জানিয়েছেন বাড়ি থাকার। তাঁর ইনস্টাগ্রামে ঢুঁ দিলেই দেখতে পারবেন তাতে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনী প্রচারের কোনও ছবি নেই। সেখানে তিনি নেত্রী পার্নো নন। অভিনেত্রী পার্নো। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে গিয়েছেন সায়ন্তিকা-সায়নী। কিন্তু হেরে গিয়েও ওই তারকা প্রার্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। করছেন জনসংযোগও। সায়ন্তিকা যেমন বাঁকুড়ায় বানিয়েছেন সেফ হোম, অক্সিজেন পরিষেবা। অন্যদিকে সায়নীও আসানসোল ঘুরে এসেছেন দিন কয়েক আগেই।
পার্নোও কোভিড হেল্পলাইন চালু করেছিলেন। গত বছর লকডাউনেও সাহায্য করেছেন বহু মানুষকে। তবে এ বারে সক্রিয়ভাবে ময়দানে নামতে তাঁকে দেখা যায়নি। সবটাই ভার্চুয়ালি।
মাস খানেক আগে এক ফেসবুক পেজ থেকে যখন তারকা প্রার্থীদের নম্বর শেয়ার করা হয়েছিল সেই তালিকায় ছিলেন তিনিও। সে সময় টিভিনাইন বাংলাকে অভিনেত্রী বলেছিলেন, “আমি কখনও জানিয়ে মানুষের জন্য কাজ করিনি। কাছের মানুষেরা জানেন আমফানের সময়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াব বলে কীভাবে টাকা জোগাড় করেছি। হাত অবধি পেতেছি লোকের কাছে। তা-ই আলাদা করে মানুষের জন্য কাজ করতে ভয় পাইনি কখনও। এত ফোন আসছে, কিছুজনকে সাহায্য করতে পেরেছি। কিন্তু আমি কোভিড আক্রান্ত। শরীর একেবারে ভাল নেই। তা-ও যতটুকু সম্ভব করছি।”