প্রায় ৩৫ থেকে ৪০টি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের কেমিস্ট্রিও ছিল দেখবার মতো। রিয়ালিটি শো-য়ে প্রিয় বুম্বাদা’কে নিয়েই অকপট রচনা। বেশ কিছু বছর আগে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের এক রিয়ালিটি শো’য়ে হাজির হয়েছিলেন রচনা। সেখানেই শাশ্বত তাঁকে প্রশ্ন করেন ইন্ডাস্ট্রিতে শেয়াল কে? এক মুহূর্তে চিন্তা না করেই রচনা নিয়েছিলেন প্রসেনজিতের নাম। কিন্তু কেন? কেন বুম্বাদা’কে ধূর্ত প্রাণী শিয়ালের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি? রচনা দিয়েছিলেন নিজস্ব যুক্তি। জানিয়েছিলেন, ভীষণ বুদ্ধিমান, ভীষণ চালাক ইন্ডাস্ট্রি তথা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ঠিক যেন ‘শিয়াল পন্ডিত’। এখানেই থামেন তিনি শুধু শিয়াল নন, রচনার মতে প্রসেনজিৎ হলেন শিয়াল পন্ডিত। একই সঙ্গে জানিয়েছিলেন প্রসেনজিৎকে নিয়ে তাঁর এক আক্ষেপের কথাও। কী সেই আক্ষেপ।
রচনার কথায়, “একসঙ্গে ৩৫-৪০টি ছবিতে আমার নায়ক তিনি। কখনও কি মনে হয়নি রচনার সঙ্গে প্রেম করা যায়? ওর হাতটা ধরা যায়? দুটো ভাল কথা বলা যায়?” অন্য অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রেমের গুঞ্জন বিভিন্ন সময়ে শোনা গেলেও রচনার সঙ্গে কখনওই প্রেমজড়িত বিষয়ে নাম জড়ায়নি তাঁর। আর রচনার আক্ষেপ তাতেই। একদিকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে যেমন তুলনা করেছেন শেয়ালের সঙ্গে, ঠিক তেমনই তাঁর মতে ইন্ডাস্ট্রির গাধা হলেন যীশু সেনগুপ্ত। কেন? সে যুক্তিও দিয়েছেন তিনি। রচনা মনে করেন, আজ যীশু যে জায়গায় পৌঁছেছেন ‘গাধামি’ না করলে বহু আগেই হয়তো সেই জায়গায় পৌঁছতে পারতেন তিনি।
সাংসারিক জীবন সুখের হয়নি রচনার। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ না হলেও তাঁরা আলাদা থাকেন। ছেলে যদিও থাকে মায়ের সঙ্গেই। বাবাকে হারিয়েছেন বেশ কিছু সময় অতিক্রান্ত। আপাতত ছেলেকে ঘিরেই তাঁর সংসার। এখন আর ছবিতে তাঁকে অভিনয় করতে বিশেষ দেখা যায় না। তবে রিয়ালিটি শো ‘দিদি নম্বর ওয়ান’কে হাতিয়ার করেই তিনি পৌঁছে গিয়েছেন গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে। নিজেই মনে করেন, সিনেমা নয় ‘ব্র্যান্ড রচনা’ হয়েছেন টেলিভিশনের হাত ধরেই।