‘বল্লভপুরের’ রাজপুত্র সত্যম ভট্টাচার্যের প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ ছবির পর থেকেই টলিপাড়ার লাইম লাইটে সত্যম। জমিদার লুকে হাতে গোলাপ নিয়ে এক সুপুরুষকে পর্দায় দেখে অনেকেই এক কথায় পছন্দ করেছিলেন। তবে সত্যমের মনে অন্য কারও বাস। প্রেমদিবসে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন সত্যম। মনের মানুষের নাম শাশ্বতী সিংহ। থিয়েটার মঞ্চে একসঙ্গে কাজ করা। নিত্য যোগাযোগ শাশ্বতীর সঙ্গে। দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ মুক্তির সময় সত্যম TV9 বাংলাকে বলেছিলেন, “দূরে দাঁড়িয়ে কাছের মানুষ… এত রাজকীয় আয়োজন, হইহই, প্রশংসা দেখে ওর চোখে জল চলে এসেছিল।”
প্রেমিকার জন্মদিনে এক দীর্ঘ পোস্টও করেছেন সত্যম সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। শেয়ার করেন দীর্ঘদিন সম্পর্কের যাত্রাশুরুর ছবি থেকে বর্তমানের ছবি। লিখেছিলেন: “প্রথম ছবি একসাথে, আর শেষ ছবি একসাথে। মাঝে পড়ে আছে ১১টা বছর। ছবি দিয়েই যদি জীবনের সমস্তটা বিচার করতে হয়, তাহলে এখনও কোনও ছবিই তোলা হয়নি। বেঁচে থাক তোর কিশোরীর মন। বেঁচে থাক তোর লড়াই করার সাহস, স্পর্ধা, বেঁচে থাকার জেদ। বয়স বাড়লে মানুষের জীবনের স্রোতগুলো হয়ে যায় আরও কঠিন। কিন্তু আরও রোমাঞ্চকর। সেই স্রোতে আমিও গা ভাসিয়েছি। চল, এক ডুব দিয়ে পার করি সব। শুভ জন্মদিন চাপকুমারি।” প্রেমদিবসে সেই শাশ্বতীকে কী জানাতে চান সত্যম, TV9 বাংলায় জানালেন মনের কথা।
বল্লভপুর করার পর কতগুলো প্রেমের প্রস্তাব পেলেন?
ওরে বাবা, একেবারেই নয়। কারণ ছবিটার বেশিরভাগ দর্শকই হয় ছোট না-হয় প্রবীণ। মাঝামাঝিদের থেকে প্রশংসা শুনলেও প্রেমের কোনও নামগন্ধ নেই।
প্রথম প্রেমের প্রস্তাব কবে দিয়েছিলেন?
স্কুল জীবনে, ছোটবেলায়। ওই অবুঝ মনের অনুভুতি বলতে পারেন। ওসব এখন আর ঠিক মতো মনেও পড়ে না। তবে প্রেমপত্র কখনওই লিখিনি।
প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণটা কেমন?
আমাদের সম্পর্কের প্রথম ধাপটাই হল বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব থেকেই তো শুরু। বিশ্বাস-ভরসা সবটাই বড্ড বেশি। সঙ্গে বলব, কোথাও গিয়ে যেন একে-অপরকে বুঝতে পারা, একটা দীর্ঘ পথ চলার পর একটা আন্দাজ করতে পারা একে-অপরের মানসিক স্থিতি। একটা পরিস্থিতিতে কে, কেমন আছে, সেটা মুখে না বলার আগেই বুঝতে পারা। সেটা একটা বড় শক্তি। সেখানে গিয়ে কানেকশনটা বোঝা যায়।
মনের মানুষ কী বলতে চান প্রেমদিবসে?
মনের মানুষকে আজকের দিনে বলতে চাই, দীর্ঘ আট বছরের সম্পর্ক। ভবিষ্যতেও একসঙ্গে পথ চলতে চাই। যাতে পরবর্তীটা সুখে শান্তিতেই কাটে, এটাই আশা করব।
বিয়েটা কবে?
না, না। এখন ওসব নিয়ে ভাবছি না। এখন নাটক নিয়ে খুবই ব্যস্ত আমরা। আরও অনেক কাজকর্ম আছে, তবে কিছু ঠিক হলে তো আপনারা ঠিকই খবর পেয়ে যান। সত্যি বলছি, এই মুহূর্তে কিছু ভাবছি না বিয়ে নিয়ে।