মেয়ে চলে গিয়েছে তিন মাস পার হয়ে গিয়েছে। এখনও মেয়ে স্মৃতিতে কাতর অভিনেত্রীর ঐন্দ্রিলা শর্মার মা। প্রেমদিবসের দিন যখন আজ রাজপথ থেকে অলিগলিতে ভিড় করছেন ‘কাপল’রা তখন শিখাদেবীও হাতড়ে বেড়াচ্ছেন মেয়ের স্মৃতি। মনে পড়ে যাচ্ছে মেয়ে ও সব্যসাচী চৌধুরীর সেই অমর প্রেমকাহিনীর কথা। গত বছর বোলপুরে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচী। সব ঠিক ছিল। সেই সুদিনের ছবি শেয়ার করেই শিখাদেবী লিখেছেন, “সবাইকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র শুভেচ্ছা। সব্য আর ঐন্দ্রিলা এভাবেই তাঁদের ভ্যালেন্টাইন্স ডে একান্তে কাটাবে।” ভক্তদের চোখে জল। তাঁদের মনে পড়ে যাচ্ছে গত বছরও এই দিন গত আনন্দের ছিল দু’জনের কাছে। মনে পড়ে যাচ্ছে, ২০২১ সালে এরকমই একটা সময় আরও একবার ক্যানসার থাবা বসিয়েছিল ঐন্দ্রিলার শরীরে। মেয়ের স্মৃতি আঁকড়ে বাঁচতে চান শিখাদেবী। আর তাঁর সাপোর্ট সিস্টেম এদিক ওদিক ছড়িয়ে থাকা ঐন্দ্রিলার অগুণতি ভক্ত।
গত ২০ নভেম্বর প্রয়াত হয়েছেন ঐন্দ্রিলা। দু’বার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে জয়ী হয়ে ফিরলেও তৃতীয়বার আর পারেননি। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে হয়েছিল বারংবার হৃদরোগও। চলে যান ঐন্দ্রিলা। মৃত্যুর কিছু দিন আগে পর্যন্তও করেছেন নতুন সিরিজের শুটিং। ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল অভিনেত্রী হওয়ার। বহরমপুরেই ঐন্দ্রিলার বড় হয়ে ওঠা। সেখানেই কেটেছে তাঁর স্কুলজীবন। স্কুলে দিদি ঐশ্বর্য ছিলেন চিরকালের শান্ত, লেখাপড়ায় মনোযোগী। ঐন্দ্রিলা ছিলেন স্কুলের জান। দুষ্টুমিও করতেন তিনি। টিভিনাইন বাংলার কাছে এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রীর মা শিখা দেবী। তাঁর কথায়, “আমার বড় মেয়েটা পড়ুয়া। ছোটটা ছিল দস্যি। প্রায়দিনই স্কুল থেকে গার্ডিয়ান কল হত ঐন্দ্রিলার জন্য। মারামারিও করেছে। কিন্তু ওকে ছাড়া কিছুই সম্পূর্ণ হতে না স্কুলে। এক্সট্রা ক্যারিকুলার অ্যাক্টিভিটিতে আমার ছোটটা ছিল চ্যাম্পিয়ন… নাচে, গানে, আবৃত্তিতে প্রথম…”। আজ যদিও সবই স্মৃতি, সেই স্মৃতিকেই সম্বল করে বাঁচছে শর্মা পরিবার।