সন্ধ্যা থেকেই বাড়ছিল পুলিশের (Police) সংখ্যা। আদালতের নির্দেশিকা হাতে নিয়ে চাকরি প্রার্থীদের উঠে যাওয়ারও কথা লাগাতার ঘোষণা করে যাচ্ছিল পুলিশ। প্রতি ৫ মিনিট অন্তর অন্তর চলছিল মাইকিং। তবে ২০১৪ সালের চাকরি প্রার্থীদের (TET Agitators) সাফ জবাব, প্রাণ থাকতে তাঁরা অনশন মঞ্চ ছেড়ে উঠবেন না। তবে যেভাবে সন্ধ্যা থেকে করুণাময়ী চত্বরে পুলিশের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছিল তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছিল চাকরি প্রার্থীরা। অবশেষে ঘড়ির কাঁটা ১২টা পেরোতেই অ্যাকশন শুরু পুলিশের। চ্যাংদোলা করে আন্দোলনকারীদের তুলে দেওয়া হল অনশন মঞ্চ থেকে। আটকও করা হল বহু চাকরি প্রার্থীকে। টেনেহিঁচড়ে তোলা হয় বাসে। এই ঘটনায় কার্যত তোলপাড় বাংলা। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাস্তা– হচ্ছে আন্দোলন। কেউ চুপ আবার কেউ বা প্রতিবাদে মুখর। উঠে আসছে নানা প্রশ্নও। সরব বাম ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও। করুণাময়ী কাণ্ড নিয়ে কী বললেন তিনি?
টিভিনাইন বাংলাকে শ্রীলেখার বক্তব্য
ছেলেমেয়েগুলো শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিল। সাংবিধানিক আইন মানলে আন্দোলনরত কাউকেই তো এভাবে তুলে দেওয়া যায় না। আমার এ সব দেখে একটাই প্রশ্ন, মানুষ এখনও চুপ কেন? সরকারের বিরুদ্ধে কথা তো বলবই, বলছিও… কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছেও আমার প্রশ্ন, কেন তাঁরা কিছু বলছে না। ঘুম থেকে উঠে গোটা ঘটনাটি দেখে আমি কতগুলো পোস্ট করেছি। সেখানেও কিন্তু মানুষ লাইন দিয়ে হাহা-রিঅ্যাক্ট দিয়েছে। মানুষ আসলে ভিখিরি হয়ে গিয়েছে, লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রীর লোভে তারা আজ প্রতিবাদ করতেও ভুলে গিয়েছে। মেরুদন্ডটাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আর মুষ্টিমেয় যারা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদেরকে ভয় দেখিয়ে, পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে এমন একট পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে, যাতে অন্য কেউ আর গলা তোলার সাহস না পান। ভয়, নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে সকলে। এই যে আমি, প্রতিবাদ করছি বলে গত সাত মাস ধরে কোনও কাজ পাচ্ছি না। আমার প্রশ্ন, যারা কার্নিভ্যালে হাঁটছে, পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছে কী করে পারে? কারণ তাঁদের বাড়ির লোক তো চাকরির জন্য ধর্না দিচ্ছে না। ফেসবুকে একটা আহা উহু দেবে, এরপরেই ঠিক হ্যাপি দিওয়ালি লিখে পোস্ট করবে…ব্যস হয়ে গেল। আমার লজ্জা হয়, শুধু নিজেরটুকু ভাবতে পারি না, আর সেটাই আমার খামতি। একজন মহিলা অভিনেত্রী বলেছিলেন না আমার খামতির কথা, হ্যাঁ রয়েছে, আমার খামতি আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কার্নিভ্যালে গিয়ে চকোলেট খেতে পারি না।