একবার নয় দুই বার। অন্য মহিলাকে দেখে শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) ভেবে ভুল করছেন নেটিজেন। আর তাতেই অভিনেত্রী ছুড়ে দিলেন এক প্রশ্ন। তাঁর প্রশ্ন, “স্বাস্থ্যবতী মহিলা দেখলেই সবাই কেন শ্রীলেখা ভাবে”? সিপিআইএম যুবনেতা শতরূপ ঘোষের বিয়ে হয়েছে দু’দিন আগেই। তাঁর স্ত্রী পহেলি সাহা টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অংশ ও একই সঙ্গে শতরূপের দীর্ঘদিনের পরিচিতও। জনৈক নেটিজেন শতরূপ ও পহেলির এক আংটিবদলের ছবি শেয়ার করে লেখেন, “পাত্রীকে দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম শ্রীলেখাদি, তারপর খবর নিয়ে আমার ভুল ভাঙল”। ওই স্ক্রিনশট শেয়ার করে শ্রীলেখা মিত্র নিজের স্টাইলে লিখেছিলেন, “যাক, এই বয়সে বিয়ের পাত্রী ভাবছে আমায়!” এ তো গেল একটি ঘটনা। দ্বিতীয় ঘটনাটি একদিন পরেই। হুমা কুরেশি ও শিখর ধাওয়ানের একটি ছবি শেয়ার করে অপর এক নেটিজেন লেখেন, ‘প্রথম দেখায় শ্রীলেখা ভেবেছিলাম’। যে ছবিটি দেখে ওই ব্যক্তি হুমাকে শ্রীলেখা ভেবে ভুল করেছিলেন, ওই ছবিটি আদপে ‘ডাবল এক্সেল’ নামক এক ছবির দৃশ্য। ওই ছবিতে হুমার বিপরীতে দেখা গিয়েছিল শিখরকে। নাম শুনেই আন্দাজ করা যায়, ছবিটি স্বাস্থ্যবতী মহিলাদের নিয়ে। মুখ্য চরিত্রে হুমা ছাড়াও ছিলেন সোনাক্ষী সিনহা। এবার তাঁকে হুমা ভেবে ভুল করায় শ্রীলেখার প্রশ্ন, “স্বাস্থ্যবতী মহিলা দেখলেই সবাই কেন শ্রীলেখা ভাবে”?
শ্রীলেখার এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তাঁর ভক্তরাই। এরই মধ্যে যদিও এক ভক্তের শ্রীলেখার উদ্দেশ্যে বক্তব্য, “স্বাস্থ্যবতী মহিলা দেখলেই সবাই মোটেও শ্রীলেখা ভাবে না। ভাবলে অভিনয়ের কেরিয়ার অন্যরকম হত… যারা ভাবকে দর্শক তোমায় আরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখার সুযোগ পেত, সেই ডিরেক্টর, প্রোডিউসারা নয়।” অনুরাগীর কথার সঙ্গে সহমত শ্রীলেখা। তাঁর উত্তর, “ঠিক বলেছ। আমায় যে বাকিরা ভালবাসে, ফ্যান্টাসাইজ করে আমি সত্যি সেটা বহুদিন জানতাম না, তখন সোশ্যাল মিডিয়ার চল ছিল না। ভাবতাম আমায় যখন ডাকে না কাজে তার মানে নিশ্চয়ই আমায় কেউ চায় না, তাই আত্মবিশ্বাস এসব হারাতে বসেছিলাম। এখন কিছু যায় আসে না।”
ইন্ডাস্ট্রি থেকে ডাক আসছে না– এ অভিযোগ আগেও করেছেন শ্রীলেখা। নেপথ্যে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় নাকি চাঁচাছোলা কথা– তা নিয়ে রয়েছেন প্রশ্ন। তবু শ্রীলেখা বাঁচেন নিজের শর্তেই। মাঝেমধ্যে ফেসবুকে কমেন রসিক মন্তব্য, যা দেখে হেসে খুন হন তাঁর অনুরাগীরাও।