এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি আছেন তরুণ মজুমদার। হাসপাতাল থেকে বুধবার দুপুরে জানানো হয়, ভাল নেই পরিচালক। তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছেন। সেই তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাবই চিকিৎসকদের উদ্বেগে রেখেছে। রক্তক্ষরণের মাত্রা কমেছে। অক্সিজেন দেওয়ার মাত্রাও প্রতি মিনিটে আট লিটার থেকে কমে তিন লিটার হয়েছে। টিউবের মাধ্যমে খাওয়া-দাওয়া করছেন। ক্রিয়েটিনিন, ইউরিয়ার মাত্রা বেশি রয়েছে। সঙ্গে দোসর সেপ্টিসেমিয়া (রক্তে সংক্রমণ)। রক্তচাপ কমেছে। তখনকার পরিস্থিতি অনুযায়ী, ওষুধ দিয়ে বাড়ানোর প্রয়োজন হচ্ছে না। কিডনিজনিত সমস্যার কারণে উডবার্নে প্রথমে ভর্তি হয়েছিলেন তরুণ মজুমদার। সোমবার বিকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে তাঁকে সিসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃদ্ধ পরিচালকের শারীরিক যা অবস্থা, তাতে খানিক স্থিতিশীল না হলে ডায়ালিসিস করানো যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে অতি সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন তরুণ মজুমদার।
এখন কেমন আছেন তরুণ মজুমদার?
কিছুক্ষণ আগে (বুধবার রাতে, ২২.০৬.২০২২) এসএসকেএম-এর উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরা বলেছেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় জটিলতা বেড়েছে পরিচালকের। রেনাল এনসেফ্যালোপাথি দেখা দিয়েছে। ক্রিয়েটিনিন মাত্রা বাড়ছে শরীরে। বুধবার ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ৫.৯, যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। অন্য জটিলতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়ালিসিস করা হতে পারে বৃহস্পতিবার। বৃহস্পতিবার মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কিডনির জটিলতা বাড়ছে। এদিন মস্তিষ্কের সাড়া দেওয়ার প্রবণতা কিছুটা কমেছে।”
সোমবার (২০.০৬.২০২২) হঠাৎই অবস্থার অবনতি ঘটায় আজ তড়িঘড়ি ডাক্তারদের এই বিশেষ টিম গঠন করা হয়। পরিচালক রয়েছেন বর্তমানে অক্সিজেন সাপোর্টেই। রক্তচাপও কমেছিল বেশ কিছুটা। যদিও বর্তমানে তা স্বাভাবিক। স্বাস্থ্যের অবস্থা অনুযায়ী বৈঠক করেই পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বাংলা সিনেমার দুনিয়ায় কিংবদন্তি পরিচালকের অবদান রয়েছে অনেকখানি। ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে পাঁচটি জাতীয় পুরস্কার। ‘বালিকা বধূ’, ‘কুহেলি’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘গণদেবতা’, ‘আলো’র মত একের পর এক সুপারহিট সিনেমা তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন।