সে বর্ষার এক সন্ধে। শহরের এক পাঁচতারা হোটেল এক ছাদের তলায় গোটা টলিপাড়া। নাচ-গান, আড্ডায় জমে ওঠা জমকালো এক সন্ধে। হ্য়াঁ, এটা সম্ভব করে তুলেছে TV9 বাংলা। তাদের প্রথম প্রয়াস এই ঘরের বায়োস্কোপ অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩। টেলিভিশন ও ওটিটি জগতের সেরাদের তাঁদের কাজের জন্য স্বীকৃতি জানোনোই একমাত্র লক্ষ্য় ছিল TV9 বাংলার। আর TV9 বাংলার এই প্রয়াসকে সফল করে তুলেছে তারকাদের উপস্থিতি। তাঁরা তাঁদেের ব্যস্ত জীবনের মূল্যবান সময়টুকু দিয়েছেন এই অনুষ্ঠানে। এই তালিকায় রয়েছে অভিনেত্রী রাইমা সেনও (Raima Sen)। তাঁর উপস্থিতিতে পূর্ণতা পেয়েছে এই শো।
যাঁর নামে টলিউডকে এক নামে চেনে গোটাবিশ্ব, তিনি আর কেউ নন, মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। তিনি আর আমাদের মধ্য়ে নেই। তবে রয়ে গিয়েছে তাঁর অসাধারণ সব ছবি। ওই যে কথায় বলে, শিল্পীদের মৃত্যু হয় না। তিনি আজও অমর। তাঁকে আরও একটু বাঁচিয়ে রেখেছেন নাতনি রাইমা সেন। বংশপরম্পরায় ধরে রেখেছেন অভিনয়ের সেই চমক। শুধু অভিনয়ই নয়, তাঁর রূপের ঝলকও মুগ্ধ করে বাংলার দর্শককে। অভিনয়, ব্যক্তিত্ব, সৌন্দর্য্য় সবেতেই তিনি সেরা। তাই TV9 বাংলা তাঁকে বিশেষ সম্নানে ভূষিত করেছে। পুরস্কার পেয়ে কী বলছেন অভিনেত্রী?
রেড কার্পেটে দাঁড়িয়ে রাইমা বললেন, “এখানে এসে খুব ভাল লাগছে। যেভাবে সবাই এখানে এসেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। খুব সুন্দরভাবে আয়োজন করেছেন ওঁরা অনুষ্ঠানটা। TV9 বাংলাকে আগামীর অনেক-অনেক শুভেচ্ছা।” শুধু রাইমাই নন, এই অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছিলেন রাইমার মা মুনমুন সেনও। সেই চেনা ছন্দেই ধরা দিয়েছিলেন তিনি। একসময় তাঁর রূপের ছটায় রাতের ঘুম উড়ত বহু পুরুষের। এখনও ঠিক আগের মতোই নিজেকে ধরে রেখেছেন তিনি। সেই চেনা গলা, চেনা সাজ। মঞ্চে উঠেই সঞ্চালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও আবির চট্টোপাধ্যায়কে স্মেহের চুম্বন দেন তিনি। মুনমুন সেন মানুষটাই এমন, সকলকে জড়িয়েই থাকতে ভালবাসেন তিনি। লাল-টুকটুকে শাড়িতে সকলের নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী।