‘উৎপল দত্ত না চাইলে তৈরি হত না আগন্তুক’, জন্মদিনে জেনে নিন ‘হীরক রাজা’র অজানা গল্প
শুভঙ্কর চক্রবর্তী | Edited By: arunava roy
Mar 29, 2021 | 12:13 PM
আজ উৎপল দত্তের ৯২ তম জন্মবার্ষিকী (২৯ শে মার্চ ১৯২৯—১৯ আগস্ট ১৯৯৩)। একজন সফল অভিনেতা, পরিচালক, লেখক-নাট্যকার, এবং নাট্য-কর্মী। যিনি ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা নাট্য এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রের একজন প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে উৎপল দত্ত সম্পর্কে কিছু অজানা গল্পের খোঁজ নিল Tv9 বাংলা।
1 / 6
সুহাসিনী মুলে এবং উৎপল দত্তকে এক সূত্রে বেঁধেছিলেন মৃণাল সেন। যিনি পরবর্তীকালে ‘লগান’ ছবিতে আমিরের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। মৃণাল সেন পরিচালিত ছবির নাম ছিল ‘ভুবন সোম’ (১৯৬৯)। নিউ ওয়েভ সিনেমার ট্রেন্ডসেটার ছিল ‘ভুবন সোম’। বনফুলের লেখা গল্প নিয়ে নির্মিত হয় ছবিটি।
2 / 6
১৯৪৭ সালে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ছাত্র থাকাকালীন ইংরেজি থিয়েটারের জগতে পা রেখেছিলেন উৎপল দত্ত । তিনি নিকোলাই গোগোলের ‘ডায়মন্ড কাট্স ডায়মন্ড’-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে উৎপলের নাট্য অভিনয়ের শুরু। তাঁর সহপাঠী অভিনেতাদের মধ্যে ছিলেন প্রতাপ রায়, অনিল চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। এই বন্ধুদের নিয়েই তিনি তৈরি করেন তাঁর প্রথম নাট্যদল ‘দি অ্যামেচার শেক্সপিরিয়নস’। তখন তাঁর বয়স আঠেরো।
3 / 6
সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব চলে এসেছিল একেবারে দোরগোড়ায়। জেফ্রি কেন্ডালের শেক্সপেরিয়ানা কোম্পানি, যখন ভারত ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়, উৎপল দত্তের ট্রুপটি তখনও ইংরেজি নাটক মঞ্চস্থ করে যাচ্ছিল। যখন তাঁরা ‘ওথেলো’ পারফর্ম করছিলেন, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মধু বসু তাঁর অভিনয় দেখতে এসেছিলেন। তারপরে মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন অবলম্বনে তাঁর চলচ্চিত্রের জন্য তিনি মুখ্য অভিনেতার সন্ধান করেছিলেন। উৎপল দত্তের ‘ওথেলো’র ইন্টারপ্রিটেশনে মুগ্ধ হয়ে মধু উৎপলবাবুকে এই চরিত্রের প্রস্তাব দেন। উৎপল দত্ত তাঁর অভিনয়ের ক্যানভাসটিকে আরও বিস্মৃত করার প্রয়াসের সুযোগ খুঁজছিলেন। এরপরই হিন্দি-বাংলা সুদীর্ঘ কেরিয়ার শুরু হয় উৎপল দত্তর।
4 / 6
সত্যজিৎ রায়ের ছবিকে তিনি বারবার কুর্নিশ জানিয়েছেন। ‘পথের পাঁচালি’-‘জন অরণ্য’ দেখে সত্যজিৎকে লিখেছেন আবেগরুদ্ধ চিঠি । ‘স্যর’ বলে ডাকতেন সত্যজিৎকে। আর ‘স্যর’ও মুগ্ধ ছিলেন উৎপলের প্রতিভায়। বলেছিলেন, ‘উৎপল যদি রাজি না হত, তবে হয়তো আমি ‘আগন্তুক’ বানাতামই না।
5 / 6
জেফ্রি কেন্ডালের শেক্সপেরিয়ানা কোম্পানিতে যোগ দেন। ‘দ্য লিটল থিয়েটার গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠা করেন উৎপল। মূলত ইংরেজি নাটক মঞ্চস্থ হত। তবে পরবর্তীতে, তিনি ‘কল্লোল’, ‘অঙ্গার’ এবং ‘টিনের তলোয়ার’-এর মতো বাংলা নাটক মঞ্চস্থ করতে শুরু করেন। শুধু বাংলা-ইংরেজিতে নয়। উৎপল দত্ত বাড়িতেও জার্মান, স্প্যানিশ এবং লাতিন ভাষায় কথা বলতেন।
6 / 6
নকশাল আন্দোলন উৎপল দত্তকে আগ্রহী করেছিল। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বামপন্থী মহল প্রশ্ন তুলেছিল। তাঁর সহযোদ্ধারা তাঁকে বর্জন করেছিলেন। আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা হিসেবে উৎপল আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। আজীবন মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক ও দায়বদ্ধ শিল্পী নকশাল রাজনীতির জোয়ারে ভেসে গিয়েছিলেন।