২০১৮ সালে রাজ চক্রবর্তীর ছবি ‘অ্যাডভেঞ্চার্স অফ জোজো’তে আত্মপ্রকাশ ঘটে অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একমাত্র পুত্র যশোজিতের। তখন থেকেই সে পরিচিত। এখন দশম শ্রেণির ছাত্র যশোজিৎ। সম্প্রতি শারীরিক অসুস্থতায় খুবই ভুগেছে সে। হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল। ডেঙ্গুতে কাবু যশোজিতের রক্তে প্লেটলেট সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছিল ৩০,০০০। সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছে যশোজিৎ। এবং ফিরেই সে লিখে ফেলেছে একটা কবিতা। যে কবিতার প্রথম কয়েক লাইন – “বসন্তে ফোটে ফুল, এই বার কেন ফুটল না? রেশনের দোকানে অন্ন জোটে, এইবার কেন জুটল না? যেই রাজা প্রতিশ্রুতি দিত, আজ তার মুখ বন্ধ, জনগণ তো দেখতে পেত, এইবারে কেন অন্ধ?”
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে নিজের ঘরের এক কোণে এক মনে বসে এই কবিতা লিখছিল যশোজিৎ। বাবা জয়জিৎ ছেলেকে জিজ্ঞেস করায় সে বলেছে, “ওই একটু লিখছি।” তারপর ছেলের লেখা কবিতা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন জয়জিৎ। ক্লাস টেনের ছেলের এমন পরিণতমনস্ক লেখা পড়ে অনেকেই তাকে বাহবা ও আশীর্বাদ দিয়েছেন। জয়জিৎও খুশি। তবে TV9 বাংলাকে তিনি বলেছেন, “আমি খুবই খুশি হয়েছি যে ও এটা লিখেছে। তবে প্রশ্নও জাগছে, ছেলে কী আমার কবি হয়ে গেল? ও কবি হলে খাবে কী? আমার তো সেই চিন্তাই আসছে মনে…”
যশোজিৎ যে কবিতা লিখেছেন, সেখানে আরও একটি লাইন রয়েছে – ‘কোথাও মানুষ শোষণ করছে, কোথাও সে অন্নদাতা’… বছর ১৫-র যশোজিতের কবিতায় অনেকে রাজনীতির গন্ধ খুঁজে পেয়েছেন। জয়জিৎ যদিও জানিয়েছেন, এই বয়সে অনেক বাচ্চার মধ্যেই রাজনীতি নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়। তাঁর ছেলের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। জানিয়েছেন, যশোজিৎ নিয়মিত রাজনীতি চর্চা করে। বাবা যখন তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চায়, যশোজিৎ জানায়, যে পরবর্তীতে ‘পলিটিক্যাল অ্যানালিস্ট’ কিংবা ‘রাজনৈতিক বিশ্লেষক’ হতে চায় সে।