বৃহস্পতিবার কুন্তল ঘোষের মুখে প্রথমবার শোনা গিয়েছিল হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। কুন্তল বলেছিলেন, হৈমন্তী নিয়োগ দুর্নীতিতে সাক্ষী গোপালের দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে এখন একসঙ্গে থাকেন না। এই খবর সামনে আসতেই নতুন করে শুরু হয় চাপানউতর। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে একের পর এক তথ্য় সামনে উঠে এসেছে। হৈমন্তীর মা দাবি করেছেন, মেয়ে নিজে পছন্দ করে বিয়ে করেছিল। তাই তাঁরা বিয়ে নিয়ে কোনও খোঁজ খবরই করেননি। শুধু হৈমন্তীর মা নন, দিদির ভূমিকা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে গিয়ে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেগ পেতে হয় হৈমন্তীর বোনকেও। আজ সারাদিন ট্রেন্ডিং হৈমন্তী। তবে জানেন কি হৈমন্তীর সঙ্গে যোগ রয়েছে টলিপাড়ার? ছোট থেকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী হৈমন্তীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে পরিচালক অতনু বসুর ছবি ‘অচেনা উত্তম’-এর এক চিত্রনাট্যও। জানা গিয়েছে, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত– এঁদের সবার সঙ্গে নাকি ওই ছবিতে কাজ করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি। কিন্তু কেন? পরিচালক টিভিনাইন বাংলাকে জানিয়েছেন, একটি নার্সের চরিত্রে কাজ করার কথা ছিল হৈমন্তীর। একদিন শুটিংয়েও এসেছিলেন তিনি। কিন্তু পরেরদিনই তাঁর ‘কারচুপি’র কথা জানতে পেরে তাঁকে ছবি থেকে বাদ দিয়ে দেন পরিচালক।
পরিচালকের দাবি, তাঁর সূত্রে কাজ করতে এলেও এক দিন কাজ করার পরেই নাকি প্রযোজকের কাছে অন্য পরিচালককে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন হৈমন্তী। আর সেই কারণেই কার্যত বিরক্ত হয়ে বাদ দিয়ে দেন তাঁকে। অতনুর সঙ্গে কীভাবে আলাপ তাঁর? পরিচালক জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেন এক কাঠের মিস্ত্রী। তিনিই নাকি প্রথম হৈমন্তীর কথা জানান পরিচালককে। তাঁর সুপারিশেই হৈমন্তীকে ছবিতে কাজ দেন অতনু। আর পারিশ্রমিক? তাও নেহাতই সামান্য। মাত্র দু থেকে আড়াই হাজারেই কাজ করতে রাজি হয়েছিলেন তিনি। যদিও শেষমেশ আর কাজ করা হয়নি তাঁর।
এছাড়াও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ‘জাল’ নামক একটি ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন হৈমন্তী। সেই ছবির পরিচালক শ্যামল বোস বলেন, “হৈমন্তীর পরিচিত সমীরকুমার পণ্ডিত এই ছবিতে ইনভেস্ট করেছিল। ওই এনেছিল তাকে। ও বোধহয় হাওড়ায় লোহার কারবার রয়েছে। ওই হায়ার করেছিল।” আরও একটি ছবির নাম জানা যাচ্ছে, ‘আনটোল্ড লাভ’, পরিচালক প্রীতম মুখোপাধ্যায়। এখানেও একটা ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল তাঁর।