‘কোনও জিনিসে হাত দেবেন না!’ সত্যজিতের ঘরে অমিতাভ বচ্চন ঢুকতেই সটান বললেন সন্দীপ রায়, ঠিক কী হয়েছিল?
এমনকী, জানা যায়, সত্য়জিৎ রায় ফেলুদা চরিত্রের জন্য অমিতাভকেও নিতে চেয়েছিলেন। সত্যজিতের নাকি ইচ্ছা ছিল হিন্দিতে একটি ফেলুদা তৈরির করার। আর বলিউডের ফেলুদা হতেন অমিতাভই।

প্ল্যান হয়েও, সত্য়জিৎ রায়ের ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পাননি অমিতাভ বচ্চন। তবে সত্যজিতের ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’ ছবিতে সূত্রধর হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী, জানা যায়, সত্য়জিৎ রায় ফেলুদা চরিত্রের জন্য অমিতাভকেও নিতে চেয়েছিলেন। সত্যজিতের নাকি ইচ্ছা ছিল হিন্দিতে একটি ফেলুদা তৈরির করার। আর বলিউডের ফেলুদা হতেন অমিতাভই। তবে সেই ছবি আর তৈরি হয়নি নানা টালবাহানায়। অমিতাভের এটা খুব বড় আপসোস ।
একবার সত্যজিৎ রায়ের বাড়িতে এসেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। আর বাড়িতে ঢোকা মাত্রই, বিগ বিকে দেওয়া হয়েছিল এক কড়া নির্দেশ। প্রথমে এমন নির্দেশ পেয়ে কিছুটা অবাকই হয়েছিলেন অমিতাভ। তবে পরে পুরো বিষয়টা খোলসা করেন সত্যজিৎ নিজেই।
তা ঠিক কী ঘটেছিল?
কলকাতায় এসে সত্যজিতের বাড়িতে দেখা করতে গেলেন অমিতাভ বচ্চন। সেই সময় সত্যজিতের শরীর ঠিক ভাল যাচ্ছিল না। তাই বাড়িতেই থাকতেন বেশিটা সময়। সকাল সকাল অমিতাভ পৌঁছলেন সত্যজিতের বাড়ির। বাড়িতে ঢোকা মাত্রই দেখা সত্যজিৎপুত্র সন্দীপ রায়ের সঙ্গে। বিগবিকে সাদর আমন্ত্রণ জানালেন সন্দীপ। তবে কথায় কথায় বললেন, বাবার ঘরটা বেশ অগোছালো। কোনও কিছুতে হাত দেওয়া মানা। আমরাও হাত দিই না।
ঘরে ঢুকতেই সন্দীপ রায়ের কথার অর্থ বুঝতে পারলেন অমিতাভ। ঘরের কোণায় রাখা একটা ইজি চেয়ারে বসে রয়েছেন সত্যজিৎ। তাঁর চারিদিকে বই পত্র, পোস্টার, নানা মাপের কাগড ছড়ানো। একেবারে অগোছালো অবস্থা। সাহস করে সত্যজিতের কাছে ঘরের এমন অবস্থার কারণ জানতে চাইলেন অমিতাভ। হালকা হেসে সত্যজিৎ বললেন, ”সবার চোখে এটা অগোছালো, কিন্তু আমার কাছে নয়। কারণ, আমার যখন যেটা প্রয়োজন, তখনই সেটা হাত বাড়ালে পেয়ে যাই! ” সেদিন সত্যজিতের কথা মন ছুঁয়ে গিয়েছিল বিগ বি। ভারতীয় চলচ্চিত্রের কিংবদন্তির এমন অভ্যাস জেনে হতবাকও হয়েছিলেন তিনি।
তথ্যসূত্র- কৌন বনেগা ক্রোড়পতি
