গেট আউট! সৌমিত্রকে ঘর থেকে বার করে দিলেন উত্তম! কী এমন দোষ করেছিলেন পুলু?
সৌমিত্রকে ভালবেসে তাঁর ডাক নাম পুলু বলেই ডাকতেন মহানায়ক। কিন্তু জানেন কি এই স্নেহের পুলুর উপর মারাত্মক রেগে গিয়ে, তাঁর রেকর্ডিং রুম থেকে বার করে দিয়েছিলেন উত্তম!

উত্তম কুমার ভাল অভিনেতা নাকি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়! এই তর্কে বহুদিন ধরেই বাঙালি বিভক্ত। কিন্তু বক্স অফিসে উত্তম-সৌমিত্রর লড়াই থাকলেও, বাংলার দুই নায়কের মধ্যে কিন্তু ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। উত্তমকে দাদা হিসেবে যেমন সৌমিত্র সম্মান করতেন, তেমনিই সৌমিত্রকে ভাইয়ের মতোই স্নেহ করতেন উত্তম। এমনকী, সৌমিত্রকে ভালবেসে তাঁর ডাক নাম পুলু বলেই ডাকতেন মহানায়ক। কিন্তু জানেন কি এই স্নেহের পুলুর উপর মারাত্মক রেগে গিয়ে, তাঁর রেকর্ডিং রুম থেকে বার করে দিয়েছিলেন উত্তম!
ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। সময়টা সাতের দশক। শুটিং শেষ পরিচালক দিলীপ রায়ের কালজয়ী ছবি দেবদাস। নাম ভূমিকায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং চুনিলালের চরিত্রে উত্তম। এই ছবিরই ডাবিংয়ে এমন এক ঘটনা ঘটেছিল, যা কিনা সেই সময় টলিপাড়ায় হইচই ফেলে দিয়েছিল।
ডাবিং করতে রেকর্ডিং স্টুডিওতে একসঙ্গে ঢুকলেন উত্তম ও সৌমিত্র। শুরু হল ডাবিং। কিন্তু সংলাপ বলতে গিয়ে একটি শব্দ উচ্চারণ করতে গিয়ে আটকে যাচ্ছিলেন উত্তম। উত্তমের এমন অবস্থা দেখে সেদিন নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি সৌমিত্র। ডাবিং রুমের ভিতরই অট্টহাসি শুরু তাঁর। উত্তম প্রথমে চুপ করতে বললেও, সৌমিত্র থামেননি। উল্টে হাসির মাত্রা বাড়িয়ে দিলেন। ব্যস, সৌমিত্রর ওরকম হাসি শুনে রেগে লাল মহানায়ক। তারপর জোর গলায় উত্তম বললেন, গেট আউট পুলু! এখনই এখান থেকে বেরিয়ে যাও… নইলে আমি চলে যাব! সৌমিত্র তখন নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিলেন। উত্তমের কাছে ক্ষমা চেয়ে চুপচাপ বেরিয়ে এসেছিলেন। পরে অবশ্য এই ঘটনা নিয়ে আড্ডায় কথা উঠলে, বিষয়কে হালকা করতে উত্তম স্নেহের পুলুকে বলতেন, দাদার সঙ্গে বেশি রসিকতা ভাল নয়!
