ভেজা শাড়ি পরে এসো! লতার কাছে আজব আবদার রাজ কাপুরের, তারপর…
ঠিকঠাক চললে ১৯৫০ সালেই তৈরি হত সত্যম শিবম সুন্দরম। আর নায়িকা হতেন লতা মঙ্গেশকর! হ্য়াঁ, এমনটাই ঘটার কথা ছিল। কিন্তু রাজ কাপুরের একটা মন্তব্যেই সব শেষ!

১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় রাজ কাপুরের ব্লকবাস্টার ছবি সত্যম শিবম সুন্দরম। এই ছবি থেকেই বলিউড দেখে সাহসী জিনত আমনকে। তবে শুধুই ছবি নয়, সুপারহিট হয় সত্যম শিবম সুন্দরমের গানও। তবে জানেন কি, এই ছবি বহু আগেই তৈরি করার কথা ভেবেছিলেন রাজ কাপুর। সব ঠিকঠাক চললে ১৯৫০ সালেই তৈরি হত সত্যম শিবম সুন্দরম। আর নায়িকা হতেন লতা মঙ্গেশকর! হ্য়াঁ, এমনটাই ঘটার কথা ছিল। কিন্তু রাজ কাপুরের একটা মন্তব্যেই সব শেষ!
ব্য়াপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। পাঁচের দশকেই সত্যম শিবম সুন্দরম ছবির চিত্রনাট্য লিখে ফেলছিলেনস রাজ কাপুর। ভেবেছিলেন লতাকেই ছবির অভিনেত্রী করবেন। কেননা, ছবির গল্প তৈরি হয়েছিল এক সুকণ্ঠী নারী ও তাঁর প্রেম নিয়ে। তাই লতাকেই যে এমন গল্পে মানাবে তা বুঝতে পেরেছিলেন রাজ। কিন্তু ভাবনা একরকম, ঘটল আরেক রকম। ভুল করেই লতাকে এমন কয়েকটা কথা বলে ফেললেন রাজ, যা শুনে লতা গেলেন রেগে। তৎক্ষণাৎ নাকচ করলেন রাজের অফার।
সেই সময় এক বিনোদনমূলক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজ লতাকে ছবির গল্প শুনিয়েছিলেন। গায়িকাকে স্পষ্ট আবদার করেছিলেন, লুক টেস্টের জন্য তাঁকে ভেজা শাড়ি পরতে হবে। রাজের এমন আবদার, মোটেই ভালভাবে নেননি লতা। তবে এখানেই শেষ নয়। এরপর রাজ যেটা বলেছিলেন, তা আরও মারাত্মক।
বলিউডের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র সাংবাদিক বীর সাংভি তাঁর বইতে তুলে ধরেছেন পুরো ঘটনাটি। রাজ কাপুরকে নিয়ে লেখা তাঁর বইয়ে সাংবাদিক বীর লেখেন, রাজ কাপুর নাকি স্পষ্ট লতাকে বলেছিলেন, আমার এমন একজন অভিনেত্রী চাই, যাঁকে দেখতে খুবই সাধারণ, কিন্তু সে সুকণ্ঠী। আর তাঁর গান শুনেই প্রেমে পড়বেন গায়ক। রাজের এমন মন্তব্যে অপমানিত হয়েছিলেন লতা। সটান তাঁকে জানিয়ে ছিলেন, এই ছবিতে তিনি কাজ করবেন না। পরে অবশ্য নিজের মন্তব্যের জন্য লতার কাছে ক্ষমাও চান রাজ।
