শুটিংয়ের মাঝেই মাধবী-রুমার কানে এল সেই খবর, সাত-পাঁচ না ভেবেই ঝাঁপ দিলেন পুকুরে! তারপর…
অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায় ও রুমা গুহঠাকুরতার দিদি-বোনের মতো সম্পর্ক এবং তাঁদের শুটিং ফ্লোরের খুনসুটি। ২০১৯ সালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা ছবির কিংবদন্তি অভিনেত্রী রুমা গুহঠাকুরতা। তবে শুধুই অভিনেত্রী ছিলেন না তিনি। ছিলেন দক্ষ সঙ্গীতশিল্পীও।

একজন মাধবী মুখোপাধ্য়ায় ও আরেকজন রুমা গুহঠাকুরতা। সেই সময় বাংলা ইন্ডাস্ট্রির দুই দাপুটে নায়িকা। সেই দুই নায়িকাই যে এমনটা করবেন, তা আন্দাজও করতে পারেননি কেউ। কিন্তু ঘটনা যখন ঘটল, তখন গোটা গ্রাম হাঁ হয়ে দেখতে থাকল!
জানা যায়, মাধবী ও রুমা, এই দুই নায়িকা ছিলেন সম্পর্ক একেবারে দিদি-বোনের মতো। আর এই সম্পর্কের জোরেই শুটিংয়ের ফাঁকে এমন সব কাণ্ড করে বসেন, যে তা সিনেমার আলোচনার রঙিন গল্প হয়ে ওঠে। এই যেমন, অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায় ও রুমা গুহঠাকুরতার দিদি-বোনের মতো সম্পর্ক এবং তাঁদের শুটিং ফ্লোরের খুনসুটি। ২০১৯ সালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা ছবির কিংবদন্তি অভিনেত্রী রুমা গুহঠাকুরতা। তবে শুধুই অভিনেত্রী ছিলেন না তিনি। ছিলেন দক্ষ সঙ্গীতশিল্পীও। ইন্ডাস্ট্রির কাছে তিনি ছিলেন প্রিয় রুমাদি।
এক সাক্ষাৎকারে প্রিয় রুমাদিকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে, মাধবী বলেছিলেন, রুমাদি খুবই ভালো মনের মানুষ ছিলেন। শুটিং ফ্লোরে আমরা নায়িকা নয়, একেবারে দিদি, বোনের মতো থাকতাম। আমাকে তো নানা কারণে বকাও দিতেন। জোর করে খাবারও খাওয়াতেন। খুব ভালো রান্না করতেন রুমাদি। এই সাক্ষাৎকারেই মাধবী এক মজার ঘটনার কথা শেয়ার করেন। মাধবী বলেন, একটা ছবির শুটিংয়ে আমরা কলকাতা থেকে দূরে একটা গ্রামে গিয়েছিলাম। খুব সকাল থেকেই শুটিং চলছিল। গরমও ছিল। দুপুর দুপুর নাগাদ শুটিং শেষ হল। রুমাদি আর আমি ভাবছিলাম, একটু স্নান করলে শরীরটা ভালো লাগত। কিন্তু ফ্লোরের একজনের থেকে মারাত্মক খবর পেলাম। জানতে পারলাম, শুটিং ফ্লোরে কোনও স্নানঘর নেই! ঠিক তখনই আমাকে সঙ্গে নিয়ে পুকুরের ধারে ছুটে যান রুমাদি। তারপর শাড়ি পরেই পুকুরে ঝাঁপ। অনেকক্ষণ সেদিন স্নান করেছিলাম আমরা। হঠাৎ দেখি, ফ্লোরের সবাই আমাদের দেখছে। রুমাদি ঠিক এমনই মানুষ ছিলেন। এত বড় অভিনেত্রী, এত বড় শিল্পী কোনও অহংকার ছিল না তাঁর।
