গানে-গানে মন জয় সকলের, নয়া উদ্যোগে ‘উত্তরা নিউটাউন কালচারাল সোসাইটি’

Cultural Event: নয়জন গানপ্রেমী মানুষের নিউটাউন ও সল্ট-লেক বাসীদের জন্য ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের সন্মেলন আয়োজনের এক অসাধ্য সাধনের কাহিনি সংক্ষিপ্ত আকারে শ্রোতাদের সামনে রাখেন তিনি।

গানে-গানে মন জয় সকলের, নয়া উদ্যোগে 'উত্তরা নিউটাউন কালচারাল সোসাইটি'
Follow Us:
| Updated on: Dec 12, 2024 | 5:47 PM

প্রথিতযশা মার্গসংগীত শিল্পী সমন্বয়ে, নিউটাউনের রবীন্দ্রতীর্থ প্রেক্ষাগৃহে আত্মপ্রকাশ করল “উত্তরা নিউটাউন কালচারাল সোসাইটি”। কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন ও সল্ট লেকের বাসিন্দাদের ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের রসাস্বাদনের এক সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই উদ্যোক্তাদের এই আয়োজন। অনুষ্ঠানের সূচনা করেন উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে শ্রী শমীক আইচ। নয়জন গানপ্রেমী মানুষের নিউটাউন ও সল্ট-লেক বাসীদের জন্য ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের সন্মেলন আয়োজনের এক অসাধ্য সাধনের কাহিনি সংক্ষিপ্ত আকারে শ্রোতাদের সামনে রাখেন তিনি।

তারপর প্রথম পরিবেশনা নিয়ে হাজির হন নবীন প্রজন্মের প্রতিনিধি কণ্ঠশিল্পী শ্রীমতী মৈত্রেয়ী রায়। ছাড়া, দরাজ গলায় আলাপের মাধমে রাগরূপ বিস্তারে ও পরে দ্রুত খেয়ালে রাগ হাম্বীরের সুন্দর উপস্থাপনায় শুরু হয় অনুষ্ঠান। শেষে সন্ত কবীরের একখানি ভজনের মাধ্যমে শ্রোতাদের মন জয় করে নেন তিনি। পরবর্তী পরিবেশনায় ছিলেন তালবাদ্যের দুই প্রথীতযশা শিল্পী মধু ও গোপাল বর্মণ। পণ্ডিত শঙ্কর ঘোষের সুযোগ্য ছাত্র ও পরে সহযোগী শিল্পী হিসাবে শ্রীখোল তাল বাদ্যটিকে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপনার এক প্রধান স্তম্ভ হিসাবে গোপাল বর্মণ পরিচিত।

অনুষ্ঠানের সর্বশেষ আয়োজনে ছিল পণ্ডিত পার্থ বসুর সেতার। পন্ডিত রবিশঙ্কর ও পন্ডিত নিখিল চক্রবর্তীর পরবরতীকালে মাইহার ঘরানার সুযোগ্য উত্তরসুরী হিসাবে সুপরিচিত পার্থ বসু এবারেও শ্রোতাদের নিরাস করেননি। ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের এই আয়োজনের মাধমে প্রথম পদক্ষেপেই উপস্থিত নিউটাউন ও সল্ট লেকের সমস্ত বাসিন্দাদের মন জয় করে নিয়েছে “উত্তরা নিউটাউন কালচারাল সোসাইটি”।