বিয়ের পরদিনই বাড়ি ফেরত আসতে চেয়েছিলেন এই অভিনেত্রী, কী ঘটেছিল?
Sanghasree Love Story: পরিবারের সম্বন্ধ করে দেওয়া পাত্রের সঙ্গেই বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী সঙ্ঘশ্রী মিত্র সিনহা। এবং বিয়ে করেই ভাগ্য খুলে গিয়েছে অভিনেত্রীর। স্বামীর অনুপ্রেরণায় এবং সমর্থনে অভিনয় করার ইচ্ছাটা আরও দ্বিগুণ হয়েছে তাঁর। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে রইল সেই প্রেমের আখ্যান।

টলিপাড়ায় কাজ করতে এসেছিলেন ক্যামেরার নেপথ্যে। কিন্তু তাঁর পছন্দ ছিল ক্যামেরার সামনের কাজ। চেহারা ভারী বলে কাউকে সেই ইচ্ছার কথা বলতে লজ্জা পেতেন সঙ্ঘশ্রী। কিন্তু বিয়ের পর সবটা পাল্টে যায়। পরিবারের সম্বন্ধ করে দেওয়া পাত্রের সঙ্গেই বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী সঙ্ঘশ্রী মিত্র সিনহা। এবং বিয়ে করেই ভাগ্য খুলে গিয়েছে অভিনেত্রীর। স্বামীর অনুপ্রেরণায় এবং সমর্থনে অভিনয় করার ইচ্ছাটা আরও দ্বিগুণ হয়েছে তাঁর। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে রইল সেই প্রেমের আখ্যান।
স্বামী পাশে থাকলে কী না হয়। প্রচলিত বাক্যই আছে, প্রত্যেক সফল নারীর পিছনে থাকে তাঁর স্বামীর সমর্থন। বিষয়টা যেন ভীষণভাবে প্রযোজ্য সঙ্ঘশ্রীর ক্ষেত্রে। তাঁর স্বামীর সমর্থন না থাকলে অভিনেত্রী হওয়ার এই তাগিদ অনুভবই করতে পারতেন না তিনি।
বিয়ের পর এক দারুণ মজার ঘটনার কথা সঙ্ঘশ্রী জানিয়েছেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। সদ্য ব্রেকআপ হয়েছিল সঙ্ঘশ্রীর। প্রেম ভেঙে যাওয়ার দুঃখ ছিল খুব। সেই প্রাক্তন প্রেমিক করল এক কাণ্ড। সঙ্ঘশ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরই অন্য এক প্রেমিকা জুটিয়ে ফেলল। সেই প্রেমিকাকে নিজের বাইকে ছাপিয়ে সঙ্ঘশ্রীর বাড়ির নিচ দিয়ে যাতায়াত শুরু করে সেই প্রেমিক। তা দেখে জ্বলতে থাকেন সঙ্ঘশ্রী। সঙ্ঘশ্রী বলেছেন, “প্রতিশোধ স্পৃহা কাজ করতে শুরু করে আমার মধ্যে। দেখিয়ে দিতে ইচ্ছে করছিল আমিও জুটিয়ে ফেলতে পারি কাউকে। একেবারে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। তারপর বিয়ে করার পরদিন বুঝলাম, এটা আমি কী করে ফেলেছি। এখন তো ফেরত যাওয়ার আর উপায় নেই। বিয়ে করে পরের দিনই বাড়ি চলে যেতে চেয়েছিলাম। আমার স্বামী তখন শান্তভাবে বলেছিল, বৌভাতের তো অনেক আয়োজন হয়ে গিয়েছে। বউভাতটা হয়ে যাক, তারপরই বাড়ি চলে যেও।”
সেই বাড়ি আর যাওয়া হয়নি সঙ্ঘশ্রীর। স্ত্রীর ছেলেমানুষীকে এভাবেই প্রশ্রয় দেন তাঁর স্বামী। হয়তো মনে-মনে চাযন না আরও একটু ছেলেমানুষি সঙ্ঘশ্রী।
