AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

প্রেমিকের পাড়ায় শর্মিলার বিকিনি পরা পোস্টার, ভয়ে রাতারাতি কী করেছিলেন নায়িকা?

একসময় বিকিনি পড়ে শুট করার জন্য কত কী-ই না করতে হয়েছে তাঁকে, এই বলে হেসে ফেলেন শর্মিলা। ‘অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস’ ছবির জন্য তাঁকে পরিচালকের কথা মতো বিকিনি পরতে হয়। তবে পরিচালক তাঁকে জোর করেননি। নিজের ইচ্ছেতেই তিনি এটি করেন।

প্রেমিকের পাড়ায় শর্মিলার বিকিনি পরা পোস্টার, ভয়ে রাতারাতি কী করেছিলেন নায়িকা?
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2025 | 4:24 PM
Share

আজকাল বিকিনিতে নায়িকাদের দেখে অভ্যস্ত হলেও, আগেকার ছবিটা এমন ছিল না। ৬০-এর দশকে খোলামেলা পোশাকে হাতে গোনা অভিনেত্রীদের দেখা যেত। তবে তখনই তথাকথিত ট্যাবু ভেঙে বিকিনিতে ধরা দিয়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। তবে কাজটা অতটাও সহজ ছিল না। শাশুড়ির থেকে নিজের সেই লুক লোকাতে ছবির পোস্টার ছিঁড়ে ফেলতে হয়েছিল তাঁকে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জীবনের নানা অজানা কাহিনি শেয়ার করতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। একসময় বিকিনি পড়ে শুট করার জন্য কত কী-ই না করতে হয়েছে তাঁকে, এই বলে হেসে ফেলেন শর্মিলা। ‘অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস’ ছবির জন্য তাঁকে পরিচালকের কথা মতো বিকিনি পরতে হয়। তবে পরিচালক তাঁকে জোর করেননি। নিজের ইচ্ছেতেই তিনি এটি করেন। শর্মিলার কথায়, “এটাই তখন কত বড় ব্যাপার ছিল। ভাবিনি এক টুকরো কাপড়ের জন্য কত বিতর্কে জড়াতে হবে। ”

তবে এ ব্যাপারে তাঁর সাফ জবাব, “”আমি যা করেছি দর্শকের জন্য। আমার পরিচালক আমায় বুঝিয়েছিলেন যে দর্শকের জন্যই আজ আমি এখানে, তাই তাঁরা যেভাবে আমায় চান আমায় সেভাবেই চলতে হবে। আমি নিজেকে মেলে ধরতে চেয়েছিলাম। বলা ভাল দর্শকের কাছে আরও আকর্ষণীয়, আরও গ্রহণযোগ্য হতে চেয়েছিলাম। আর আমার মনে হয় পেরেওছিলাম হতে। ভালই লাগছিল আমায়।”

এটা যে সময়ের ঘটনা তখন বিয়ে হয়নি তাঁর। তখন মনসুর আলি খান পাতৌদির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। তবে হবু শাশুড়ি মা তাঁর এই শুট নিয়ে কী বলবেন তা নিয়ে বেশ ভয় পেয়েছিলেন তিনি। তাই রাতারাতি শ্বশুরবাড়ির কাছের সমস্ত পোস্টার ড্রাইভারকে পাঠিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। সেই সময় দেশে ছিলেন না প্রেমিক পাতৌদি সাহেব। তবে টেলিগ্রামের মাধ্যমে তাঁর পাশে আছেন বলেই জানান। সবশেষে শর্মিলা হাসতে-হাসতে বলেন, যদিও এসব নিয়ে কোনও ঝামেলাই হয়নি। আম্মা(হলু শাশুড়ি) কিছুই বলেননি।”