‘হারামজাদা, আক্কেল জীবনে হবে না?’ প্রসেনজিৎ-কে ‘চোখ রাঙানি’ অনামিকার, তারপর…
Anamika Saha: দীর্ঘ অভিনয় জীবন জুড়ে অজস্র স্মৃতি…। অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় যে তালিকার বাইরে নন। শুটিং সেটে তৈরি হওয়া নানা গল্পের মধ্যে তাঁর স্নেহের বুম্বাও বাদ পড়ে না। কী ঘটেছিল? TV9 বাংলাকে সেই গল্প শোনান অনামিকা।
অনামিকা সাহা, টলিপাড়ার ‘বিন্দুমাসি’। না, এটাই তাঁর একমাত্র পরিচয় নয়, তবে অভিনেতাদের কেরিয়ারে কিছু-কিছু চরিত্র দর্শকদের মনে দাগ কেটে যায়, সেই সময় দাঁড়িয়ে ‘বিন্দুমাসি’র দাপট পর্দায় আচ্ছা-আচ্ছা ভিলেনকে কাত করে দিয়েছিল, অনামিকা সাহা বলেই তা সম্ভব। বেড়েছে বয়স, পাল্টেছে সময়, তবুও বিন্দুমাত্র কমেনি ‘বিন্দুমাসি’র অভিনয়ের ধার। আজও পর্দায় তিনি সমান তালে জাঁদরেল চরিত্রে অভিনয় করে চলেছেন। আবার পজিটিভ চরিত্রতেও নজর কাড়ছেন তিনি। দীর্ঘ অভিনয় জীবন জুড়ে অজস্র স্মৃতি…। অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় যে তালিকার বাইরে নন। শুটিং সেটে তৈরি হওয়া নানা গল্পের মধ্যে তাঁর স্নেহের বুম্বাও বাদ পড়ে না। কী ঘটেছিল? TV9 বাংলাকে সেই গল্প শোনান অনামিকা।
পর্দার বিন্দুমাসির কথায়, “একবার আমার এক ছবির মহরৎ পড়ল সরস্বতী পুজোর দিন। সেই ছবিতে ছিল বুম্বা (প্রজেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়), ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আরও অনেকে। সেদিন আমরা সবাই ছিলাম সেটে। সেদিন মজার বিষয় হয় কী, আমার একটা দৃশ্য শুট করেই মহরৎ হবে স্থির হল। আর সেই চরিত্রটা ছিল বেশ ঝাঁঝাঁলো। মানে আমি যেমনটা করে থাকতাম। এর আগে পুজো হল, খাওয়া দাওয়া হল। তারপর মেকআপে বসলাম আমি। কলটাইম ছিল ৫টা। আমার সংলাপটা ছিল, ‘হারামজাদা, বুদ্ধি আক্কেল জীবনে হবে না? এমন একটা মেয়ের সঙ্গে তুই মিশছিস?‘ আমি শটটা দিলাম, সেটা ‘ওকে’ হল। আমি এটা বুম্বার উদ্দেশে বলেছিলাম। শটটা হয়ে যাওয়ার পর বুম্বা আমায় বলল: ‘ছিঃ, ছিঃ, অনামিকাদি, আজ সরস্বতী পুজোর দিন তুমি এভাবে আমায় গালাগাল করলে?’ আমি না, সেই মুহূর্তে ভেবেছিলাম ‘ও সত্যিই হয়তো মন থেকে বলছে’। তবে না, ও যে মজা করছিল, ওটা ওর অভিনয়ের ক্ষমতা ছিল, বুঝতে সময় লাগে আমার। মনে মনে খারাপও লাগে, তবে সংলাপ তো, এটাই কাজ, তাই আর কী-ই বা করার থাকে আমাদের। পলকে এসে জড়িয়ে ধরে বুম্বা।”