‘খুব কষ্টকর’, কোন গান গাইতে রীতিমতো কালঘাম ছোটে আশার?
এই ছবিতে মুমতাজের বিপরীতে ছিলেন রাজেশ খান্না। ওম প্রকাশ, জগদীপ, মদন পুরী প্রমুখ। ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এ. ভি সুব্রামানিয়ম, টিম কুট্টু ও জাম্বু। ছবিটি একটি তেলগু ছবির রিমেক ছিল।

সিনেমার প্লেব্যাক হোক বা অধুনিক গান, লতা মঙ্গেশকর ও আশা ভোঁসলে– এই দুই বোন অপ্রতিরদ্ধ। হিন্দি সিনেমা হোক বা অন্য যেকোনও ভাষার গান, চলচ্চিত্র সঙ্গীততে সব ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করে ফেলেছিলেন তাঁরা। লতা মঙ্গেস্করকে যেমন নাইটিংগেল বলা হয়, তেমনই আশা ভোঁসলেকে মেলোডি কুইন বলা হয়ে থাকে। সব রকম গান গাওয়ার বিশেষ দক্ষতা দেখিয়েছেন আশা ভোঁসলে। খুব সহজেই নানা ধরনের কম্পোজিশনকে নিজের কণ্ঠে-সুরে হাজার হৃদয় ছুঁয়েছেন গায়িকা। তবে এমন কোন গান ছিল, যা গাইতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল আশা ভোঁসলেকে?
সাম্প্রতি একটি জাতীয় স্তরের পডকাস্টে সেই প্রসঙ্গই উঠে এল অভিনেত্রী মুমতাজের কথায়। মুমতাজের জানালেন, লতা মঙ্গেশকর ও আশা ভোঁসলের খুব কাছের মানুষ ছিলেন মুমতাজ। অভিনয়ে আসার আগে থেকেই এই মঙ্গেশকর পরিবারের সঙ্গে পরিচিতি ছিল। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, আশা ভোঁসলের সঙ্গে এখনও তাঁর দারুণ বন্ধুত্ব। সম্প্রতি আশা ভোঁসলের বাড়িতে নৈশ ভোজে গিয়ে আশা ভোঁসলে মুমতাজের কাছে জানিয়েছেন, আশাজি সব থেকে বেশি বেগ পেয়েছে মুমতাজের লিপে একটি গান গাইতে গিয়ে।
কোন গানের কথা বলেছেন আশা ভোঁসলে? উত্তরে মুমতাজ বলেন, “১৯৭২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘আপনা দেশ’ ছবি। এটি একটি অ্যাকশন ড্রামা ফিল্ম। এই ছবির মিউজিক করেছিলেন আরডি বর্মন। এই ছবির একটি গান ছিল ” আজাও মেরে রাজা, জান্নাত কি শেয়ের করাউঙ্গি…” এই গানের মধ্যে এমন কিছু কাজ ছিল যেগুলি খুব কঠিন। সেই গান গাইতেই বেশ কষ্ট করতে হয়েছিল গায়িকা আশা ভোঁসলেকে। এই গানের সঙ্গে লিপ দিয়ে অভিনয় করতে আমার নিজেরও বেশ সমস্যা হয়েছিল।”
প্রসঙ্গত, এই ছবিতে মুমতাজের বিপরীতে ছিলেন রাজেশ খান্না। ওম প্রকাশ, জগদীপ, মদন পুরী প্রমুখ। ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এ. ভি সুব্রামানিয়ম, টিম কুট্টু ও জাম্বু। ছবিটি একটি তেলগু ছবির রিমেক ছিল।





