তখনও তাঁরা বিয়ে করেননি। কিন্তু প্রেম চলছে চুটিয়ে। অমিতাভ বচ্চন তখন ভয়েস ওভার আর্টিস্ট ছাড়া আর কিছুই নন। কিন্তু ওই কয়লার মধ্যেই হীরে চিনেছিলেন জয়া। বুঝেছিলেন সুপারস্টার হওয়ার যাবতীয় লক্ষণই রয়েছে মানুষটার মধ্যে। তিনি পরিশ্রমীও। শুধু দরকার একজন পথ প্রদর্শকের।
এরকম একটা সময় যখন অমিতাভ বচ্চন বলিউডে নিজেকে মেলে ধরতে লড়াই চালাচ্ছেন,ঠিক তেমন সময়েই তাঁকে কেন্দ্র করেই জয়া ও তৎকালীন সুপারস্টার রাজেশ খান্নার বেঁধে গিয়েছিল এক লড়াই। প্রকাশ্যেই অমিতাভকে নিয়ে এমন কিছু বলেছিলেন রাজেশ যা মোটেও ভালভাবে নেননি জয়া। প্রেমিকের অপমান সেদিন তিনি মেনে নিতে পারেননি।
পাল্টা কথা শুনিয়ে দিয়েছিলেন রাজেশ খান্নাকে। কী এমন বলেছিলেন রাজেশ খান্না যে তা নিয়ে আজও হয় চর্চা? ‘বাবরচি’র শুটিংয়ে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন জয়া ও রাজেশ। সেখানেই আচমকা রাজেশ বলতে শুরু করেন ইন্ডাস্ট্রিতে অমিতাভের কোনও ভবিষ্যৎ নেই।
এও বলেছিলেন, “জয়া বচ্চন বৃথাই ওই স্ট্রাগলরের পিছনে সময় নষ্ট করেছেন। কোনওদিনই ওই ব্যক্তির সঙ্গে সুখে থাকবেন না জয়া।” জয়াও পাল্টা উত্তর দিতে পিছপা হননি। রাজেশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি পাল্টা বলেছিলেন, “একদিন অমিতাভই ইন্ডাস্ট্রি শাসন করবেন। ছাপিয়ে যাবেন রাজেশ খান্নাকেও। আর হয়েওছিল তাই, ইচ্ছার জোরে কিছুদিনের মধ্যেই নিজেকে সেরা প্রমাণ করেছিলেন অমিতাভ। ভাগ্যিস পাশে ছিলেন জয়া, তাঁর সহধর্মিণী, তাঁর বন্ধু, তাঁর ভালবাসা।