মাঝ-আকাশে মুকেশ অম্বানীকে ফোন, ‘শুভেচ্ছা, বাবা হয়েছেন আপনি…’

Nita Ambani: সেদিনের সেই কথাকে নস্যাৎ করে মা হয়েছিলেন নীতা অম্বানি। শুধু কি তাই? বছর তিনেক বাদে স্বাভাবিক ভাবেই জন্ম দিয়েছিলেন অনন্ত অম্বানি। তাঁর বিয়ে সামনে। আকাশ ও ঈশারও বিয়ে হয়েছে আগেই। দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে অম্বানিদের সুখী পরিবার।

মাঝ-আকাশে মুকেশ অম্বানীকে ফোন, 'শুভেচ্ছা, বাবা হয়েছেন আপনি...'
কোন 'মন্ত্রবলে' মা হন নীতা অম্বানি?
Follow Us:
| Updated on: Jun 16, 2024 | 6:54 PM

পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যক্তির স্ত্রী তিনি। শুধু যে ধনী ব্যক্তির স্ত্রী এটিই তাঁর একমাত্র পরিচয় নয়। একই সঙ্গে নিজেও ব্যবসা সামলান সমান হাতে। এ হেন নীতা অম্বানির জীবনে এক সময় হয়েছিল উথালপাথাল। আর পাঁচজনের মতো বিয়ের পর তিনি যখন মা হওয়ার চেষ্টা করছেন ঠিক তখনই ডাক্তার শুনিয়ে দেন এক নিদারুণ সত্য। জানিয়ে দেন মা হতে পারবেন না তিনি। নীতার বয়স তখন মাত্র ২৩ বছর। সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছেন, সে সময় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর। মনকষ্টে ভুগতে শুরু করেন। তবে ওই যে চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়। যুদ্ধজয় করে আজ তিনি তিন সন্তানের জননী। কীভাবে সম্ভব হল সবটা? রইল এই প্রতিবেদনে।

জানেন কি, ঈশা ও আকাশ মানে অম্বানিদের যমজ সন্তানের জন্ম হয় আইভিএফ অর্থাৎ Vitro Fertilization পদ্ধতিতে। ১৯৯১ সালে দাঁড়িয়ে এ কিন্তু মুখের কথা নয়! সে সময় আইভিএফের এত প্রচলন ছিল না। তবে সন্তান সুখের আশায় সেই পন্থাই অবলম্বন করেছিলেন অম্বানি দম্পতি। তাঁদের জন্মও যেন এক আখ্যান। নীতার কথায়, “আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম। আর মুকেশ সবেমাত্র ভারতে ফিরেছে। ফিরতেই ডাক্তারের ফোন পায় ও এক্ষুনি ইউএসএ আসতে হবে। মা (কোকিলাবেন অম্বানি), আমাদের ডাক্তার (ডক্টর ফিরোজা) আর মুকেশ তক্ষুণি ফ্লাইটে চেপে বসেন। আর মাঝআকাশেই খবর আসে এক ছেলে আর এক মেয়ে হয়েছে।” কেন ছেলে-মেয়ের নাম ঈশা ও আকাশ রাখেন তাঁরা? সে গল্পও শুনিয়েছেন দেশের সবচেয়ে ধনী মানুষ। বলেছেন, “মুকেশ যখন ভারত থেকে আসছিল অনেক পাহাড় পর্বতের উপর দিয়ে ফ্লাইটটা আসছিল। তাই মেয়ের নাম রাখা হয় ঈশা যার মানে পাহাড়ের দেবী বা পার্বতী। আর আকাশেই সন্তানদের জন্মের খবর পেয়েছিল বাবা, তাই ছেলের নাম রাখা হয় আকাশ।”

সেদিনের সেই কথাকে নস্যাৎ করে মা হয়েছিলেন নীতা অম্বানি। শুধু কি তাই? বছর তিনেক বাদে স্বাভাবিক ভাবেই জন্ম দিয়েছিলেন অনন্ত অম্বানি। তাঁর বিয়ে সামনে। আকাশ ও ঈশারও বিয়ে হয়েছে আগেই। দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে অম্বানিদের সুখী পরিবার।