মেজাজ হারিয়ে ঐশ্বর্য-অভিষেকের বিয়ের কার্ড ফেরান এই সুপারস্টার, কেন জানেন?
ঐশ্বর্য ও অভিষেকের রাজকীয় বিয়ে নিয়ে যে একাধিক খবর ও জল্পনা ছড়িয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য। যদিও শেষে ধূমধাম করেই বিয়ে হয় তাঁদের। একসঙ্গে ১৮ বছর সংসার করেছেন তাঁরা। রয়েছে এক কন্যা সন্তানও।

অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাই, বলিউডের অন্যতম চর্চিত জুটি। যাঁদের নিয়ে নিত্য জল্পনা থাকে তুঙ্গে। গোপনে শুরু হয়েছিল তাঁদের সম্পর্ক। তবে প্রেমের খবর সামনে আসতেই জল্পনা ছিল তুঙ্গে। কয়েকবছর গড়াতে না গড়াতেই ২০০৭ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নেন ঐশ্বর্য-অভিষেক। অভিষেক-ঐশ্বর্যের বিয়ের আসর বলে কথা। একের পর এক সেলেবদের মধ্যে ঝড়ে গতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল সেই খবর। কিন্তু পরিবার থেকে ছিল অন্য পরিকল্পনা।
‘কফি উইথ করণ’ টক শো-য়ে এসে বিয়ে নিয়ে একগুচ্ছ খবর ফাঁস করেছিলেন খোদ অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য। অভিষেকের কথায় একই সঙ্গে সকলকে খুশি করা সম্ভবপর কখনই নয়। তাই অনেকেই ছিলেন, যাঁরা হয়তো বিষয়টা ভাল চোখে দেখেননি, কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন তা নিয়ে কোনও আক্ষেপই নেই এই জুটির মনে। কারণ, সেই সময় ঐশ্বর্যের পরিবারে চলছিল এক গুরুতর সমস্যা।
শোনা যায় সেই কারণে ঐশ্বর্যের পরিবারের তরফ থেকে বড় করে বিয়ে দেওয়ার কোনও ইচ্ছেই ছিল না। তাও কার্ড পাঠিয়ে সকলের থেকে আশীর্বাদ চাওয়া হয়েছিল। পাঠানো হয়েছিল মিষ্টিও। যদিও শত্রুঘ্ন সিনহা সেই কার্ড ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। মুখ ফিরিয়েছিলেন পরিচালক রাম গোপাল বর্মাও। বিয়েতে উপস্থিত থেকেও তাঁর চোখে মুখে স্পষ্ট ছিল বিরক্তিভাব। তা নিয়ে পরবর্তীতে করণ জোহারও কমেন্ট করতে ছাড়েননি।
এক সাক্ষাৎকারে শত্রুঘ্ন সিনহা জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে কোনও ফোন কিংবা কোনও বার্তা যায়নি। কেবল একদিন কার্ড আর মিষ্টি পৌঁছিয়ে যায়। যদি তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিমন্ত্রিত না হন, তাহলে তিনি কেন তা গ্রহণ করবেন, এই যুক্তিতে তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা। যদিও একটা সময় অমিতাভ ও শত্রুঘ্ন খুব ভাল বন্ধু ছিলেন।
তবে ঐশ্বর্য ও অভিষেকের রাজকীয় বিয়ে নিয়ে যে একাধিক খবর ও জল্পনা ছড়িয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য। যদিও শেষে ধূমধাম করেই বিয়ে হয় তাঁদের। একসঙ্গে ১৮ বছর সংসার করেছেন তাঁরা। রয়েছে এক কন্যা সন্তানও। সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া বিচ্ছেদের সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সিঁথি ভরা সিঁদুর পরে নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন।
