‘মমতা ফোন করেছিল, নবান্নেও ডেকেছিল, আমি রাজি হইনি’

Anamika Saha: সরল সাদামাটা মনে সকলের সঙ্গে পলকে গল্প জমিয়ে ফেলেন। তবে জানেন কি, সকলের এই প্রিয় বিন্দুমাসীকেই দলে যোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটবাজারে সেই গল্পই TV9 বাংলা ডিজিটাল-কে শোনালেন তিনি।

'মমতা ফোন করেছিল, নবান্নেও ডেকেছিল, আমি রাজি হইনি'
Follow Us:
| Updated on: May 08, 2024 | 2:56 PM

বিন্দু মাসি। অনামিকা সাহা। টলিপাড়ার ভিলেন। পর্দায় তিনি দাপটের সঙ্গে চোখ রাঙালেও বাস্তবে মিথ্যে খুব একটা গুছিয়ে বলতে পারেন না এই অভিনেত্রী। বরং তাঁর সরল সাদামাটা মনে সকলের সঙ্গে পলকে গল্প জমিয়ে ফেলেন। তবে জানেন কি, সকলের এই প্রিয় বিন্দুমাসীকেই দলে যোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটবাজারে সেই গল্পই TV9 বাংলা ডিজিটাল-কে শোনালেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেদিন প্রথম দেখেছিলেন, সেই ঘটনা আজও ভোলার নয়। অনামিকা বললেন, ”বিয়ের পরের ঘটনা, একদিন শ্বশুরবাড়ি ফেরার পথে দেখি একটা মেয়ে মাথায় রক্ত নিয়ে পড়ে আছে। বাড়ি ফিরে শ্বশুরমশাইয়ের থেকে জানতে পারি, উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খুব লড়াই করছেন সিপিএমের বিরুদ্ধে। সেই আমার প্রথম চেনা। তারপর একটা সময় দেখি তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলেন। তখন আমি মনে মনে ভাবলাম, কত লড়াই না করতে হয়েছে ওঁকে এই জায়গায় পৌঁছতে। কীভাবে দেখেছিলাম, আর আজ তিনি এই চেয়ারে। তখন মনে হল, আমিই কিছু করতে পারলাম না। বিয়ের পর আমার শ্বশুরমশাই কাজ বন্ধ করে দিলেন, নয়তো আজ…।”

আক্ষেপের মাঝেও গর্ব করে তিনি বললেন, ”ওনাকে দেখে আমার মনে হয়েছিল, চেষ্টাটাই সব। উনি আমায় লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দিয়েছেন। আমার মনে আছে, আমি তখন যাত্রা করি, তাপস পাল, শতাব্দী রায় একটা দলে, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, আমি অন্য একটা দলে। আমরা শো করতে গেলে প্রায়ই এক হোটেলেই থাকতাম। এরই মাঝে ব্রেকফাস্টের পরে তাপস, অভিষেক, সব আমার ঘরে এসে জড়ো হয়। গল্প চলছে। এমন সময় একটা ফোন এল। তাপস আমাকে বলছে, মমতাদি চাইছেন তুমি ভোটে দাঁড়াও। আমি বললাম, পাগল নাকি, ধুর…আমি এসব পারি না, রাজনীতি বুঝি না। আমি সরল মানুষ, অত মিথ্যে কথা বলতে পারি না। সেই জায়গায় শতাব্দী দাঁড়াল।”

তাঁর আর রাজনীতির ময়দানে নামা হয়নি। যদিও নামা হয়নি বললে ভুল বলা হবে, কারণ প্রচারে তাঁকে দেখা গিয়েছে। অনামিকা বললেন, ”আমায় যখন তিনি পুরস্কার দিলেন, তখন বললেন, আপনি ভিলেনের পাঠ করেন, তাও আপনাকে আমার খুব দরকার। আপনি একদিন নবান্নে আসুন, আপনাকে আমার খুব দরকার। এরপর একদিন হরনাথ চক্রবর্তী আমায় ফোন করে বললেন, দিদি ডেকে পাঠিয়েছে, তোমাকে নিয়ে আমায় যেতে বলেছে। সেবারে দিদি আমায় বললেন, এবারে প্রচারে আমি আপনাকে চাই। আমি ফেরাইনি। ২৪টা জায়গায় আমি প্রচার করেছি। তবে এবার আর পারলাম না। সিরিয়ালের কাজ, রোদ, শরীরও আর দেয় না গো। যদিও আমার মেয়ে কিন্তু বেশ রেগে গিয়েই আমায় বলেছিল, তুমি রাজনীতি করলে আমি আর মা বলে ডাকব না। তুমি অভিনয়টাই কর। ব্যস আমিও তাই করছি।”