AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিয়েতে অরুচি! জামাইষষ্ঠীর দিন হা-হুতাশ করতে থাকেন অভিনেত্রী রাজশ্রীর মা…

Actress Rajasree Bhowmick: আজ পর্যন্ত বিয়ে করেননি টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাজশ্রী ভৌমিক। কিন্তু কেন তাঁর এই সিদ্ধান্ত? কেন বিয়ে নামের প্রতিষ্ঠান থেকে শতহস্ত দূরে পালিয়েছিলেন এই তারকা? শুনুন তাঁরই জবানিতে...

বিয়েতে অরুচি! জামাইষষ্ঠীর দিন হা-হুতাশ করতে থাকেন অভিনেত্রী রাজশ্রীর মা...
অভিনেত্রী রাজশ্রী ভৌমিক।
| Updated on: Apr 05, 2024 | 9:00 AM
Share

বাঙালি অভিনেত্রী রাজশ্রী ভৌমিক। বালিকা বয়স থেকেই বাংলা সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। প্রথমে সিনেমা দিয়ে শুরু হয় রাজশ্রী অভিনয় কেরিয়ার। তারপর আস্তে-আস্তে সিরিয়ালেও দাপটের সঙ্গে অভিনয় করতে শুরু করেন এই অভিনেত্রী। এই রাজশ্রী ৪০ বছর বয়স পেরনোর পরেও অবিবাহিতই রয়ে গিয়েছেন। কেন জীবনে কাউকে পেলেন না অভিনেত্রী, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজশ্রী।

খুব ছোট ছিলেন যখন, মায়ের হাত ধরে টলিপাড়ায় ঘুরেছিলেন রাজশ্রী ভৌমিক। মা চাইতেন মেয়ে বড় নায়িকা হোক। কিন্তু বাবার তাতে মত ছিল না। তবে মায়ের ইচ্ছের সামনে বাবার ইচ্ছে যেমন দাম পাইনি কোনওকালেই। রাজশ্রী ধীরে-ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তোলেন সিনেমার জগতে।

নিজের ব্যক্তিজীবন এবং কর্মজীবন নিয়ে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে রাজশ্রী বলেছেন, “আমি ইন্ডাস্ট্রি থেকে প্রচুর ভালবাসা পেয়েছি। তবে কাজের জন্য কাউকেই নিজে থেকে কিছু বলতে পারতাম না। ফলে আমার কাজের পরিমাণ কম। যতটা সুযোগ নিজে থেকে এসেছে, ততটুকুই কাজ করতে পেরেছি। আমার স্টুডিয়ো পাড়ায় যেতে ভাল লাগে। সেখানে আমার প্রচুর বন্ধু হয়ে গিয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতে আমার দারুণ ভাল লাগে।

বাবা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠতেই রাজশ্রী জানিয়েছিলেন, তাঁর অভিনয় কেরিয়ারে আসা নিয়ে বাবার অমত ছিল। কিন্তু মা চাইতেন মেয়ে বড় অভিনেত্রী হোক। বলেছেন, “মায়ের ইচ্ছেতেই আমার এই পেশা বেছে নেওয়া। মায়ের হাত ধরে বিভিন্ন স্টুডিয়ো পাড়ায় ঘুরেছি আমি। মা আমাকে গার্ড করে রাখতেন সবসময়।”

তবে আজ পর্যন্ত বিয়ে করেননি রাজশ্রী। তাই নিয়ে খুব আক্ষেপ রয়েছে তাঁর মনে। বলেছিলেন, “আমি বিয়ে করিনি। বিয়ে করার মতো সত্যি কাউকে খুঁজে পাইনি। আমার দাদা বিয়ে করেছেন। ফলে মা আমার দাদার বিয়েতেই একমাত্র আনন্দ করতে পেরেছেন। আমার বিয়ে না করার সিদ্ধান্তকে আজও মেনে নিতে পারেন না মা। জামাইষষ্ঠীর দিন হা-হুতাশ করতে থাকেন ভীষণ। কিন্তু আমি মনে করি না বিয়েটাই জীবনের একমাত্র কাজ। আমার মতো অনেকেই এখন বিয়ে করেন না। আমি সেই সময় দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলাম। লোকে অনেক কথা বলেছিল। পরবর্তীতে দেখেছি প্রচুর ছেলেমেয়ে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি হয়তো তাঁদের কাছে অনুপ্রেরণা!”