গত বছর ১ ডিসেম্বর মুক্তি পায় দক্ষিণী পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ছবি ‘অ্যানিম্যাল’। তাঁর আগের দুটি ছবি ‘অর্জুন রেড্ডি’ এবং ‘কবীর সিং’ ছবির মতো এক ‘আলফা মেল’কে (যে পুরুষ দলের সেরা) কেন্দ্র করে তৈরি সন্দীপ তৈরি করেছেন এই ছবি। সেই চরিত্রে অভিনয় করেছেন রণবীর কাপুর। সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপ ধরা পড়েছে অভিনেতার। তবে ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন ববি দেওল। ১৫ মিনিট দেখানো হয় তাঁকে, তাও এক নির্বাক খলনায়ক আব্রার হকের চরিত্রে। নির্বাক, তাই সে কথা বলতে পারে না। ছবিতে রণবীর-ববি দুই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু তাঁরা শত্রু সেখানে। ববির নির্মম মৃত্যুর দৃশ্য দেখানো হয়। তাতে দেখা যায় ছুরি দিয়ে ববির গলা কাটছেন রণবীর। তা দেখে আর্তনাদ করে উঠেছেন ববির বাস্তব জীবনের মা প্রকাশ কৌর।
ছেলের গলা কাঁটা হচ্ছে। যন্ত্রণায় ছটফট করে তিনি মারা যাচ্ছেন। এমন দৃশ্য বসে-বসে দেখতেই পারেননি ববির মা, তথা কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। অবসাদে চলে যান তিনি। ববিকে ডেকে ধমক দেন পরিবারের সক্কলের সামনে। বলেছেন, “আর যেন না দেখি ববি। তুমি মরে যাচ্ছ, আর সেই দৃশ্য মা হয়ে আমি দেখব, সেটা যেন আর না হয় কোনওদিন।”
মায়ের এই ছেলেমানুষি দেখে চোখে জল চলে আসে ববির। তিনি মাকে বুকে আগলে ধরে বোঝান, “মা এরকম কেন করছ। ওটা তো ছবি আর ওটা আমার অভিনয়। বাস্তব নয়। বাস্তবে এই দেখো, আমি তোমার সামনেই বসে আছি…” কিন্তু মায়ের মন তো, অমনভাবে সন্তানের মৃত্যু কি দেখতে পারে।
পুত্রের মৃত্যু দেখে আর্তনাদ করে ওঠেন কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর। সেই দৃশ্য কিছুতেই মানতে পারলেন না তিনি। বাড়ির পরিবেশ অশান্ত হয়ে ওঠে। সেই পরিবেশ শান্ত করতে মাকে আগলে ধরেন দুই পুত্র সানি এবং ববি। এই ঘটনায় খুবই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন ধর্মেন্দ্র নিজেও। কী ঘটেছে পরিবারের অন্দরে?