চিত্রনাট্যে ‘মালটা বড় ক্যাদড়…’, বলতে নারাজ কৌশানী, কী বলছেন তিনি
পরিচালক আতিউল ইসলাম নতুন ছবির শুটিং শুরু করেছিলেন নভেম্বর মাসে। ছবির নাম 'কাল'। ছবিতে একজন ইনভেস্টিগেটিং অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়। তাঁর পাশাপাশি বনি সেনগুপ্ত, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সুপ্রিয় দত্ত, দেবাশিস মণ্ডলের মতো তাবড় অভিনেতারা কাজ করছিলেন। ছবির প্রযোজনা করছিলেন রবিউল শেখ এবং রামিজ রাজা। রবিউল শেখ এই ছবিটি লিখেছেন। তবে ১১ আর ১৪ তারিখ ছবির শুটিং হওয়ার পর শুটিং ফ্লোরে ঝামেলার চোটে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

পরিচালক আতিউল ইসলাম নতুন ছবির শুটিং শুরু করেছিলেন নভেম্বর মাসে। ছবির নাম ‘কাল’। ছবিতে একজন ইনভেস্টিগেটিং অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়। তাঁর পাশাপাশি বনি সেনগুপ্ত, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সুপ্রিয় দত্ত, দেবাশিস মণ্ডলের মতো তাবড় অভিনেতারা কাজ করছিলেন। ছবির প্রযোজনা করছিলেন রবিউল শেখ এবং রামিজ রাজা। রবিউল শেখ এই ছবিটি লিখেছেন। তবে ১১ আর ১৪ তারিখ ছবির শুটিং হওয়ার পর শুটিং ফ্লোরে ঝামেলার চোটে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
TV9 বাংলাকে আতিউল জানালেন, ”চিত্রনাট্যে ”আপনি মালটা বড় ক্যাদড় আছেন…’ সংলাপ ছিল। সেটা বলতে রাজি হননি কৌশানী। এদিকে প্রযোজক মনে করছেন, চিত্রনাট্যে ওই শব্দটি থাকা দরকার। সেই কারণেই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। শুটিং আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। পরিচালক হিসাবে আমার প্রযোজককেও দরকার। আর অভিনেত্রী কৌশানীকেও দরকার। এর বাইরে আমার কিছু বলার নেই। এই জটিলতা কাটানোর চেষ্টা করছেন ইমপা-র সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত। এই ছবি ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২২ দিন ধরে শুটিং হতো। তবে সেটা পিছিয়ে দিতে হয়েছে।”
আতিউল পরিচালিত ‘দানব’ ছবিটি মুক্তি পাবে ডিসেম্বরের গোড়ায়। সেই ছবিতে রূপসা মুখোপাধ্যায়কে প্রধান মুখ হিসাবে দেখা যাবে। অন্যদিকে গত বছর দুর্গাপুজোতে কৌশানী অভিনীত ‘বহুরূপী’ মুক্তি পেয়েছিল। এই বছর সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘কিলবিল সোসাইটি’ আর নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘রক্তবীজ টু’ ছবিতে দেখা গিয়েছে নায়িকাকে। এরপর কোন ছবিতে দেখা যাবে নায়িকাকে, তা জানার অপেক্ষায় রয়েছেন অনুরাগীরা।
প্রশ্ন হলো, কৌশানী যখন ছবিটি করতে রাজি হয়েছিলেন, তখন কি চিত্রনাট্যে ছিল এই সংলাপ? পরিচালক খোলসা করলেন, ”ছবিটি শুরু করার দিন ১৫ আগে কৌশানী এই ছবি করতে রাজি হন। প্রযোজকের বক্তব্য, চিত্রনাট্য পড়ে প্রথমেই নায়িকা জানিয়ে দিতে পারতেন যে, তিনি এই সংলাপ দিতে পারবেন না। আর কৌশানী শুটিং ফ্লোরে বলেছেন, তিনি এই সংলাপ বলতে প্রস্তুত নন।” প্রযোজক TV9 বাংলাকে জানালেন, ”এই ঘটনা ঘটার কারণে শুটিং বন্ধ হয়েছে। আমাদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।”
এই প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে কৌশানী জানালেন, ”আমরা অনেক সময়ে আলোচনা করি, নতুন প্রযোজক-পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করা উচিত। তাতে ইন্ডাস্ট্রি গ্রো করে। আতিউল ভালো পরিচালক, সেটা আমার মনে হয়েছিল বনির (সেনগুপ্ত) সঙ্গে আলোচনা করে। বনি আতিউলের সঙ্গে ‘বানসারা’ ছবিতে কাজ করেছে। সেই ছবি বেশ চর্চিত। অনেকেই ছবিটার মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছেন। সেই কারণেই নতুন ছবিটা করতে রাজি হয়েছিলাম। আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র করছিলাম। শহরের একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্র। আমি বলেছিলাম, ”আপনি মালটা বড় ক্যাদড়” এটা বলতে চাই না, আমি কমফরটেবল নই। এর পরিবর্তে অন্য় কোনও সংলাপ করে দিতে। সেটার কারণে যে ছবি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, আমার কোনও ধারণা নেই। একটা ছবি এরকম করে বন্ধ হয়ে গেলে, টেকনিশিয়ানরা অনেকটাই সমস্যার মধ্যে পড়েন। আসলে একটা ছবি বিভিন্ন কারণেই বন্ধ হতে পারে। তবে যদি বলা হয়, এই সংলাপটা না বলার কারণেই ছবি বন্ধ হয়েছে, তা হলে আমার কিছু করণীয় নেই। আমি এটা বলতে কমফরটেবল নই, সেটা জানিয়েছি। এই ছবিটার জন্য নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে আমার সময় দেওয়া ছিল। জানুয়ারি মাস থেকে অন্য ছবির কাজ রয়েছে। তাই আগামী দিনে ছবিটা হলে, তখন আমি হয়তো আর এই ছবির অংশ হতেও পারব না।”
