শাহরুখ খান, তিনিই যেন এখন বলিউডের কাণ্ডারী, একের পর এক ছক্কা মেরে বক্স অফিসের বাদশা এখনই তিনি-ই। কোনও কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না শাহরুখ খানের বক্স অফিসে দাপট। আর থামবেই বা কেন? বলিপাড়ার আচ্ছে দিন যাঁর হাত ধরে এল, সেই সুপারস্টারের ছবি চলুক যুগ যুগ। শাহরুখ খানের কেরিয়ারে ২০২৩ সাল ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তবে জানেন কি, মোটা টাকা খরচ করে যে ছবি দেখার জন্য দর্শকেরা প্রেক্ষাগৃহে ভিড় জমান, সেই সুপারস্টার নিজের ছবি নিজেই দেখতে যান না প্রেক্ষাগৃহে?
একবার এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এই রহস্য ফাঁস করেছিলেন শাহরুখ। বলেছিলেন, নিজের ছবি নিজেই দেখতে যাওয়া মানে নিজের সাক্ষাৎকার নিজে আর একবার পড়ে ফেলার মতো। নিজের পিঠ নিজে চাপড়ে ফেলার মতো। বাহ্ কী দারুণ বলেছি, বাহ্ এত সুন্দর শুনতে লাগছে মনে হত। আসতে-আসতে একটা সময়ের পর আমার মনে হয়েছে, মানুষ ছবি দেখতে যায় বিনোদনের জন্য তবে আমি হয়তো বিষয়টা অতটা সহজভাবে নিতে পারিন না।
প্রথম থেকেই কী শাহরুখ খান এমনটাই ছিলেন? না, শাহরুখ খানের কথায়, “আমি প্রাথমিকভাবে ছবি দেখতে যেতাম। কিন্তু দেখতাম, হয়তো খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশে খুব ভাল একটা সংলাপ বলছি আমি, সেটা হয়তো কেউ মন দিয়ে দেখছেই না। আমি তখন খুব অস্থির হয়ে পড়ি। কেউ হয়তো পপকর্ন খাচ্ছেন, কেউ ফোন দেখছেন, কেউ হয়তো আবার তাঁর সঙ্গে যিনি গিয়েছেন তাঁর সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত। তখন আমার মনে হতো, ইস, ভাল জায়গাটা তো মিস হয়ে গেল, দেখলেন না। এরপর তো বেরিয়ে বলবেন ছবি ভাল হয়নি। আর আপনি যে অন্য কিছু করতে গিয়ে ছবির ভাল অংশ মিস করে গিয়েছেন, সেটা! এই জায়গা থেকে আমি ছবি দেখতে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। আরও একটা মজার বিষয় হল, আমি যে অংশটা হয়তো খুব মন দিয়ে করেছি, যেখানে আমার মনে হয়েছে আমি দারুণ করলাম, সেখানে হয়তো দর্শকদের তেমন একটা প্রতিক্রিয়া হল না। আর যে অংশটায় আমি তেমনভাবে গুরুত্বই হয়তো দিইনি, মনে হয়েছে সময়ের অভাবে পরিচালক ‘ওকে’ বলে দিয়েছেন, সেখানে দেখি দর্শকদের উচ্ছ্বাস। এই চাপটাই আমি নিতে পছন্দ করি না। আসলে একটা সময়ের পর আমি বুঝতে পারি, আমরা যেভাবে ছবিকে দেখি, সকলে তো সেভাবে দেখবে এমনটা নয়, তাঁরা যাচ্ছেন আনন্দ করতে…। তাই ছেড়ে দিয়েছি। আমার এমন অনেক ছবি রয়েছে যা আমি আজ পর্যন্ত একবারও দেখিনি।”