বলিউড, ভারতীয় ছবির সর্বাধিক আয়ের আতুঁরঘর। যেখানে কেরিয়ার গড়তে হাজার হাজার ছেলে মেয়ে স্বপ্ন দেখে। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা যে বক্স অফিসই প্রথম ঘরে তুলে আনে, তা বলিউড। তবে এখন সেই হাউসফুল তকমা কোথায়? কোথায় সেই আগের জৌলুস? দিন দিন ছবির মান কমছে বলেই দাবি একশ্রেণির। কেউ কেউ আবার বলছেন, একপেশে ছবি তৈরি করছে বলিউড। নতুন ছবির মধ্যে নতুনের কোনও স্বাদ থাকছে না। যদিও বলিউড নিজের মতো করেই লড়াই করে যাচ্ছে। শাহরুখ খান, সলমন খানদের আমেজ ধরে রাখলেও স্টার খচিত ছবি মানেই যে সুপারহিট, সেই সমীকরণ বর্তমানে খাটছে না। এর পিছনে যদিও বেশ কয়েকটি কারণ কাজ করে।
স্বাদ বদল হয়েছে সাধারণের। ওটিটির আশীর্বাদে বিভিন্ন প্রান্তের ছবি এখন দর্শকের হাতের মুঠোয়। ফলে একই ছাঁচে, একই ধাঁচে গড়া ছবি দর্শক খুব একটা পছন্দের তালিকায় রাখছে না। তাই সাধারণত অন্যস্বাদে তৈরি হওয়া ছবির বাজার আজও বর্তমান। যেমন ‘স্ত্রী ২’। অথচ ২০২৩ সালের তুলনায় ৪০ শতাংশ বাজার কমেছে বলিউডের। চেনা মুখ, চেনা পরিচালক আর বেশ কিছুটা চেনা গল্পই কি কাল হচ্ছে! প্রশ্ন উঠছে সিনেপাড়ায়।
একদিকে যখন বলিউডের ভাগ্য নিয়ে চিন্তার ভাঁজ সকলের কপালে, ঠিক তখনই উল্টো ছবি দক্ষিণ ভারতে। সেখানে দিন দিন বাড়ছে চাহিদা। অধিকাংশ অভিনেতাই প্যান ইন্ডিয়ায় রাজ করছেন। যে কোনও ছবির ক্ষেত্রে বিষয়টা প্রযোজ্য না হলেও গত তিন থেকে চার বছরের ট্রেন্ড বলে দক্ষিণী ছবি মানুষের মনে ক্রমে জায়গা করে নিচ্ছে। বাহুবলি ছবির হাত ধরে যে জার্নি শুরু। তারপর আরআরআর, কেজিএফ প্রতিটা ছবিই দর্শক মনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছে। তালিকায় রয়েছে পুষ্পাও। দিনের পর দিন ফ্লপ ছবি, সেই ছবির সিক্যোয়েল, ভোল বদলের প্রচেষ্টা বিস্তর কম টিনসেল টাউনে। অন্যদিকে দক্ষিণী ছবি প্রতিটা ক্ষেত্রে তুলে আনছে এক নতুন চমক, নতুন দাপট, নয়া গল্প, নতুন মেজাজ। আর তাতেই দর্শক ক্রমেই মুখ ফেরাচ্ছে দক্ষিণী সিনেপাড়ায়। যার অন্যতম উদাহরণ ‘পুষ্পা ২’ ঘিরে দর্শক মনে ঝড়।