কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেটে গ্যাস হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। তবে এই দুটি সমস্যাই খুব কষ্টদায়ক। যদিও এই মলত্যাগে কষ্ট, শরীর কষে যাওয়া এসব মোটেই গা ছাড়া ভাবে দেখবেন না। কারণ এই সব লক্ষণ থেকেই পরবর্তীতে বাকি সব রোগ সমস্যা জটিল হয়ে পড়ে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে খিদে কমে যায়। সঙ্গে পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি এসব হয়। শীতকালে জল কম খাওয়া হয়। শীতের জন্য জামাকাপড়ও বেশি থাকে। ফলে পেট গরমের সমস্যা হয়। আর ঘুম ঠিক মতো না হলে সেখান থেকেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। আর শীতকালে খুব বেশি উল্টোপাল্টা খাওয়া হয়। ভাজা পোড়া খাবার, মিষ্টি, পায়েস এসব বেশি খেলে গ্যাস হয়ই। শীতের দিকে পার্টি, পিকনিক বেশি থাকে। পোলাও,বিরিয়ানি, পকোড়া এসব খেতে শুরু করলে শরীর খারাপ লাগে। হজম ঠিকমতো না হলে, বমি হলে সেখন থেকে পিত্ত পড়ার সম্ভাবনাও থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসার জন্য ওষুধ তো আছেই। তবে সব সময় ওষুধ খেলে তা শরীরের জন্য ভাল নয়। ফলে চেষ্টা করুন আয়ুর্বেদের সাহায্য নিতে। নিয়ম মেনে এই সব খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হবে না আর শরীরও থাকবে সুস্থ
গুলকন্দ এক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করে। ইষদুষ্ণ দুধের মধ্যে এই গোলাপের পাপড়ি, মধু, চিনি, মৌরি, এলাচ গুঁড়ো দিয়ে বানানো গুলকন্দ মিশিয়ে খান। বীজ সরিয়ে শুধুমাত্র গোলাপের পাপড়ি দিতে হবে। এই পাপড়িতেই আসবে সুন্দর রং ও স্বাদ। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের নিরাময়ে রোজ নিয়ম করে খান এই সব খাবার-
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সবচাইতে ভাল হল বাসি রুটি। নিয়মিত বাসি রুটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এছাড়াও মেটাবলিক সিস্টেম শক্তিশালী করতে এই রুটির জুড়ি মেলা ভার। সকালে ঠান্ডা দুধে বাসি রুটি ভিজিয়ে খান। খুব ভাল কাজ হবে। তাই বলে দু দিনের বাসি রুটি খাবেন না। আজ রাতে বানানো হলে পরের দিন সকালে খাবেন
কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রধান একটি কারণ হল ঠিকমতো হজম না হওয়া। শুকনো আদা, গোলমরিচ, জিরে, কালোজিরে, পিঙ্ক সল্ট, হিং, পপলি একসঙ্গে গুঁড়ো করে খান। খাওয়ার আগে এক চামচ জলে এই পাউডার গুলে নিন
কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম লক্ষণ মলত্যাগে কষ্ট হওয়া, রোজ পেট পরিষ্কার না হওয়া মল শুকনো হয়ে যাওয়া মলত্যাগের সময় ব্যথা পেট ফাঁপা এবং পেট ব্যথা বমি বমি ভাব কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে যা করতেই হবে- প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। সঙ্গে ডাবের জল, ফলের রস এসবও খান হাই ক্যালোরির খাবার খাবেন না যে খাবারের মধ্যে কম ফাইবার রয়েছে সেই খাবার বেশি করে খান পনির, দুগ্ধজাত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, মাংস এসব কম খেতে হবে। সঙ্গে শরীরচর্চা আবশ্যক।