লাগামহীন খাওয়া-দাওয়ার জেরে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। কেউ পরীক্ষা করিয়ে ওষুধ খান, আবার কারও জীবন গ্যাস-অম্বলের সঙ্গেই চলছে। লিভারে ফ্যাট জমলে ভুঁড়ি বাড়ে। ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি হজমের গোলমাল লেগে থাকে। এমন নয় যে, ফ্যাটি লিভারের সমস্যাকে দূর করা যায় না কিংবা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। চিকিৎসাধীন থাকলে কিংবা ঠিকমতো খাবার খেলে সহজেই লিভারের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। কিন্তু এই কাজই অনেকে করতে চায় না।
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে লিভার সিরোসিস, লিভার ফেলিয়র, ক্যানসার, ডায়াবেটিস, কিডনি ও হার্টের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এ বিষয়ে সচেতন না থাকলে আপনাকেই ভুগতে হবে। যখনই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ধরা পড়বে, আপনাকে বাইরের খাবার খাওয়ায় রাশ টানতে হবে। সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে মদ্যপান। এছাড়া আর ৪টি ডায়েট টিপস মানলেই লিভারের জমা ফ্যাট গলবে।
১) রোজের ডায়েটে একবাটি করে সবজি ও ফল রাখুন। ভাত-রুটি সবই খাওয়া যায় ফ্যাটি লিভারে। তবে তার সঙ্গে সবজির তরকারি, ডাল খাওয়ার চেষ্টা করুন। ব্রেকফাস্টে গোটা শস্য খান। স্ন্যাকস হিসেবে খান এক বাটি তাজা ফল। যে কোনও মরশুমি ফলই খেতে পারেন।
২) ফ্যাটি লিভার ধরে পড়েছে বলে মাংস খাওয়া ছেড়ে দেবেন, এমন নয়। বরং, দেহে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য মাংস খাওয়া দরকার। এক্ষেত্রে চিকেনের ব্রেস্ট খান। এছাড়া মাছ, ডিমও খেতে পারেন। শুধু রেড মিট ও প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়িয়ে চলুন।
৩) ট্রান্স ফ্যাট এক্কেবারেই চলবে না। বাইরের তৈরি খাবারে কিন্তু ট্রান্স ফ্যাট থাকে। পিৎজা, বার্গার, চাউমিন, বিরিয়ানির মতো খাবারে লাগাম লাগান। পাশাপাশি বাড়িতে খাবার বানানোর সময় কম তেল ব্যবহার করুন।
৪) বাড়ি হোক বাড়ির বাইরে, চিনি দেওয়া খাবার ও পানীয় একদম খাবেন না। চা-কফিতে চিনি দেওয়া বন্ধ করুন। পাশাপাশি সন্দেশ, রসগোল্লায় রাশ টানুন। এমনকি কোল্ড ড্রিংক্স, কেক, পেস্ট্রি খাওয়াও বন্ধ করতে হবে।