মানুষের জীবনে এখন সবচেয়ে পরিচিত সমস্যা হল ডায়াবেটিস (Diabetes)। আজকাল ঘরে ঘরে ডায়াবেটিসের শিকার মানুষজন। আগে একটা বয়সের পর এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধত। তবে এখন আর তা বয়সের তোয়াক্কা করে না। ৩০-এর গণ্ডি পেরোতে না পেরোতেই ডায়াবেটিসের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে এই রোগের কবলে পড়ছেন মানুষজন। তবে শুধু তাই নয়, জিনগত (Genetic) কারণেও ডায়াবেটিসের সমস্যা আসে। যে হারে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে তাতে আর কিছু বছরে তা ভয়াবহ রূপ নেবে। এই রোগ সম্পর্কে বহু বাজার চলতি ভুল ধারণা (Myths) রয়েছে। যা না বদলালে হিতে-বিপরীত হতে পারে। কী সেই ধারণা গুলি? আসুন জেনে নেওয়া যাক…
ডায়াবেটিস মূলত বৃদ্ধ বয়সে হয়:
আগে সত্যিই একটা বয়সের পর ডায়াবেটিসের কবলে পড়তেন মানুষজন। তবে সেদিন আর নেই। এখন আর ডায়াবেটিস বয়স দেখে আসে না। যেকোনও বয়সে আপনি এই সমস্যার শিকার হতে পারেন। সমীক্ষা বলছে, বর্তমানে ২০-৪০ বছর বয়সীরা ডায়াবেটিসে বেশী আক্রান্ত হন।
চিনি খেলে ডায়াবেটিস হয়:
অনেকেই এই ধারণা পুষে রাখেন যে চিনি খেলেই ডায়াবেটিস হয়। একেবারেই এমনটা নয়। জিনগত কারণেও ডায়াবেটিস হয়। আপনি যদি ডায়াবেটিক হন আপনাকে খাবার থেকে চিনি বাদ দিতে হবে।
ডায়বেটিস শরীরতে দুর্বল করে দেয়:
অনেকেই মনে করেন ডায়াবেটিস শরীরকে দুর্বল করে দেয়। তা একেবারেই ভ্রান্ত একটি ধারণা। তবে হ্যাঁ দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসের সঠিক চিকিৎসা না করলে শরীরে এই ধরনের সমস্যা দেখা যেতে পারে।
পরিবারে কারও ডায়াবেটিস না থাকলে এই সমস্য হয় না:
ডায়াবেটিস বংশগত কারণে হয় ঠিকই। তবে আপনার পরিবারে কারোও ডায়াবেটিস নেই বলে আপনারও তা হবে না এমন ধারনা পুষে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই।
দীর্ঘদিন ওষুধ খেলেই ডায়াবেটিস সেরে যায়:
আপনি যদি ডায়াবেটিক হন তবে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আপনাকে নিয়মিত ওষুধ খেতেই হবে। রোজ ওষুধ খেয়ে সুগারের পরিমাণ একটু নিয়ন্ত্রনে এসে গেলেই রোগ সেরে গিয়েছে ভেবে অনেকেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। আর এতেই বিপদ বাড়ে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ একেবারে বন্ধ করা চলবে না।
ওজন বাড়ার সঙ্গে ডায়াবেটিসের কোনও যোগ নেই:
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের অন্যতম মূল ভিত্তিই হল ওজন নিয়ন্ত্রণ। একদিকে মধুমেহ রোগের চিকিৎসা করাচ্ছেন আর অন্য়দিকে ওজনের দিকে কোনও খেয়াল নেই, এমনটা করলে কিন্তু কোনও লাভ হবে না। ওজনকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।