যৌবনেই হানা দিয়েছে ঘাড়ে ব্যথা, কোমরে যন্ত্রণা, হাঁটুর সমস্যা। কম বয়সে হাড়ের অসুখ মোটেই ভাল বিষয় নয়। স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া, শরীরচর্চার অভাব, অত্যধিক কায়িক পরিশ্রম, পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেওয়ার মতো নানা সমস্যা হাড়ের সমস্যা ডেকে আনে। হাড় ও পেশির যত্ন নিতে গেলে শুধু ওজন কমালেই চলবে না। খাওয়া-দাওয়া নিয়েও সচেতন থাকতে হবে। অনেকের ধারণা, মাছ-মাংস খেলেই পেশি ও হাড় মজবুত হবে। শুধু আমিষ খাবারেই পুষ্টি বেশি নেই। নিরামিষ খাবার খেয়েও আপনি হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারেন।
শাক: বাঙালির হেঁশেলে শাকের পদের সংখ্যা কম নয়। পালং, পুঁই থেকে শুরু করে কুমড়ো, লাউ, সর্ষে বিভিন্ন ধরনের শাক রান্না করা হয়। এই সব শাকে ভরপুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম রয়েছে, যা হাড় শক্তিশালী করে। পাশাপাশি অন্ত্র ও ত্বকের জন্য উপকারী হয় শাক।
টক দই: দুধ অনেকেরই অপছন্দ। কিন্তু টক দই খেতে পারেন। টক দইয়ের মধ্যে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন বি১২-এর মতো স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে। হাড়কে শক্তিশালী করার পাশাপাশি টক দই একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায়। দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা গড়ে তোলে।
আমন্ড: রোজ সকালে এক মুঠো আমন্ড খেলে আপনার হাড়ের সমস্যা এড়াতে পারেন। এই বাদামের মধ্যে প্রোটিন রয়েছে। ক্যালশিয়ামের পাশাপাশি প্রোটিন, পটাশিয়াম রয়েছে আমন্ডে। এগুলো হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সাহায্য করে।
সাইট্রাস জাতীয় ফল: লেবুজাতীয় ফল, আঙুর, আনারসের মতো সাইট্রাস জাতীয় ফল হাড়ের জন্য উপকারী। এই ধরনের ফলে ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন সি রয়েছে। টক জাতীয় ফল খেয়েও আপনি হাড়ের সমস্যা এড়াতে পারবেন।
ড্রাই ফ্রুটস: আমন্ডের পাশাপাশি আখরোট, কাজু, কিশমিশের মতো শুকনো ফলও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই সব ড্রাই ফ্রুটসগুলো নিয়মিত খেলে একাধিক রোগের ঝুঁকিও এড়াতে পারবেন।