প্রতি বছর নতুন বছরে তিনটি শপথ (New Year’s Resolution) সকলেই নিয়ে থাকেন। ১. ওজন কমাতেই হবে। ২. বিরিয়ানি ভুলে আজ থেকেই ডায়েট শুরু। ৩. রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে যাওয়া। যথারীতি এক সপ্তাহ পর সেই রুটিনে ছেদ পড়ে। কারোর ক্ষেত্রে তা ১৫ দিন। কোনও রকমে এক সপ্তাহ গড়াতে না গড়াতেই খিদের মুখে হাতের সামনে যা পাওয়া যাচ্ছে তাই সোজা চলে যাচ্ছে মুখে। একবার রুটিনে ছেদ পড়লে কিছুতেই তা আর বাগে আনা যায় না। নিজের মতো খেতে শুরু করলে ওজন বাড়ে, কোলেসেটেরল বাড়ে, সুগার বাড়ে সঙ্গে শরীরে জাঁকিয়ে বসে হাজারো সমস্যা। একটু বেশি পরিশ্রম হলেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, ঠিক করে ঘুম না হওয়া এসবের কারণে ডিপ্রেশন, হরমোনের সমস্যা, থাইরয়েড-সহ একাধিক অসুখ আজকাল বেড়েছে। আর তাই এবার বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলতেই হবে। অযথা কাজের দোহাই দিয়ে ‘সময় নেই’ বলা বন্ধ করার দিন এবার এসে গিয়েছে। ওজন না কমালে কোনও সমস্যারই সমাধান নেই। তেমনই কাজেও মন বসবে না।
নতুন বছরে নতুন উদ্যোমে ওজন কমানোর জন্য বিশেষ কিছু টিপস দিয়েছেন পুষ্টিবিদ অঞ্জলি মুখোপাধ্যায়। পেটের চর্বি কমাতে এর চাইতে ভাল পন্থা আর কিছুই নেই। দুদিনের জন্য জোরদার ব্যায়াম করে তারপর আবার সব বন্ধ করে দিলে অনেক বেশি চর্বি জমে শরীরে। তাই চর্বি কমাতে প্রথমেই জোর দিতে হবে ডায়েটে।
নিয়ম করে ক্যালোরি ঝরাতেই হবে। আর তাই ক্যালোরি মেপে খাবার খান। কার্বোহাইড্রেট একেবারেই ছেঁটে ফেলুন। পরিবর্তে ফাইবার বেশি করে খেতে হবে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে পেট বেশিক্ষণ ভর্তি থাকে। অতিরিক্ত খিদেও পায় না। ওটস, জোয়ার, বিভিন্ন বীজ এসব যত বেশি খাবেন ততই ভাল।
পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট একেবারে বাদ দিতে হবে। পরিবর্তে ভিটামিন, খনিজ এসব বেশি করে খান। কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলেই বিভিন্ন হরমোনাল সমস্যা জাঁকিয়ে বসবে শরীরে। ভাত, রুটি, পিৎজা এসব একেবারেই বাদ দিয়ে দিতে হবে। বয়স যত বাড়বে ততই কম কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে। কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলে শরীরে নানা সমস্যা হবেই। বয়স ৩০ ঠেকলেই আগের থেকে ৪০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।
কাল পর্যন্ত যা খাবার খেতেন সেই খাবার একেবারে অর্ধেক করে দিন। এবার দিনের মধ্যে তা মেপে মেপে খান। কম খান। বারে বারে খান। পেট ভরে খাবার একেবারেই নয়।
খাবার ভাল করে চিবিয়ে খান। প্রতি ৪ ঘণ্টার গ্যাপে খাবার খেতে হবে।