Uric Acid: এই ৫ খাবার রোজ খেলে জীবনে বাড়বে না ইউরিক অ্যাসিড, হবে না কিডনি স্টোনও

Gout-Kidney Stone: ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকে মাটন, মেটে, মাছ, অ্যালকোহলের মধ্যে। আর শরীরের মধ্যে বেশি পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড থাকলে পরবর্তীতে তা গাঁটে গাঁটে জমতে থাকে।

Uric Acid: এই ৫ খাবার রোজ খেলে জীবনে বাড়বে না ইউরিক অ্যাসিড, হবে না কিডনি স্টোনও
রোজ যা খাবেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 30, 2023 | 7:45 AM

ইউরিক অ্যাসিড হল শরীরের বর্জ্য। যা শরীর থেকে নির্গত হয়। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে সেখান থেকেই সমস্যা বেশি হয়। পিউরিন হল রাসায়নিক যৌগ যা কার্বন ও নাইট্রোজেন দ্বারা গঠিত। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে হজমে সমস্যা হয়। কারণ আমাদের শরীর তা ঠিকমত হজম করতে পারে না। ফলে তখন শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে সেখান থেকে গাউটের সমস্যা হতে পারে। তবে এই সব সমস্যা এড়াতে চাইলে খাবার অভ্যাসগুলি পরিবর্তন করা কিন্তু ভীষণ ভাবে জরুরি। আর তাই যাঁদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা রয়েছে তাঁদের কিন্তু প্রথমে অবশ্যই জোর দিতে হবে ডায়েটে।

ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকে মাটন, মেটে, মাছ, অ্যালকোহলের মধ্যে। আর শরীরের মধ্যে বেশি পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড থাকলে পরবর্তীতে তা গাঁটে গাঁটে জমতে থাকে। সেই সঙ্গে জয়েন্টে ফোলাভাব, ব্যথা হতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে গাঁটে ব্যথা, গাউটের সমস্যা এস হবেই। এছাড়াও ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে পায়ে খুবই ব্যথা হয়। যেখান থেকে কিডনিতে পাথর হওয়ার মত সমস্যাও হতে পারে।

অনেক ক্ষেত্রে ইউরিক অ্যাসিড বংশগত। আর তাই প্রথম থেকেই নজর রাখুন খাওয়া-দাওয়াতে। খাবারে রাশ টানলে ইউরিক অ্যাসিড কমতে বাধ্য।

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই প্রথমেই যা করবেন তা হল কম চর্বিযুক্ত খাবার খেতে হবে। দুধ খেলে একেবারে ফ্যাট ফ্রি খেতে হবে। এছাড়াও ছানা, টকদই এসব চলতে পারে। সবচেয়ে ভাল যদি বাড়িতে পাতা টকদই খেতে পারেন।

কফি আমাদের শরীরের জন্য বেশ ভাল। তবে বেশি পরিমাণ কফি নয়। দুধ দিয়ে কফিও খাবেন না। কফি খেলে শরীরে একরকম এনজাইম তৈরি হয়। যা আমাদের পিউরিন ভেঙে দিতে সাহায্য করে। নিয়ম করে ব্ল্যাক কফি খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড কম পরিমাণে উৎপন্ন হয়।

রোজ যদি পেঁপে, আনারস, লেবু, কমলালেবু খেতে পারেন তাহলেও খুব ভাল। এই সব ফলের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। রোজ একবাটি করে এই সব ফলখান। এতে প্রাকৃতিক ভাবেই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ওটস, আপেল, ন্যাশপাতি, স্ট্রবেরি, শসা, ব্লুবেরি, গাজর এমন সব খাবার রোজ খেতে পারলে ভাল। কারণ এই সব খাবারের মধ্যে দ্রবণীয় ফাইবারও অনেকটা বেশি পরিমাণে থাকে। যা রক্তে ইুরিক অ্যাসিডের ঘনত্ব কমায়।