Weight Loss: অফিস থেকে ফিরে রাতে জিমে যাচ্ছেন? যে ৫ ‘স্বাস্থ্যকর’ ভুলের জেরে কমছে না ওজন

Healthy Habits: নিয়ম মেনে সব কাজ করার পরও অনেক সময় ওজন কমতে চায় না। বরং, তলপেটে জমতে থাকে মেদ। স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলে মেনে চলার পরও ওজন না কমা অনেক সময় রোগের লক্ষণ হয়। আবার এমনও হতে পারে, ছোট ছোট ভুলের জন্য আপনার ওজন কমছে না।

Weight Loss: অফিস থেকে ফিরে রাতে জিমে যাচ্ছেন? যে ৫ 'স্বাস্থ্যকর' ভুলের জেরে কমছে না ওজন
Follow Us:
| Updated on: Apr 15, 2024 | 12:04 PM

ওজনকে বশে রাখার সবচেয়ে সহজ পন্থা হল স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। সঠিক খাবার খাওয়া শুরু করে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম—সবই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে হেলদি লাইফস্টাইলের মধ্যে। নিয়ম মেনে সব কাজ করার পরও অনেক সময় ওজন কমতে চায় না। বরং, তলপেটে জমতে থাকে মেদ। স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলে মেনে চলার পরও ওজন না কমা অনেক সময় রোগের লক্ষণ হয়। আবার এমনও হতে পারে, ছোট ছোট ভুলের জন্য আপনার ওজন কমছে না। যে কাজগুলোকে আপনি স্বাস্থ্যকর মনে করছেন, হয়তো সেগুলোই ওজন বাড়িয়ে তোলার জন্য দায়ী। এই অভ্যাসগুলো কী-কী, দেখে নিন।

রাতে জিম যাওয়া: সারাদিন সময় হয় না শরীরচর্চা করার। তাই কাজ থেকে ফিরে রাতের সময়টাই বেছে নিয়েছেন ওয়ার্কআউটের জন্য। যোগব্যায়াম করলে শরীরে তাপ উৎপন্ন হয়, মেদ ঝরে। পাশাপাশি এনার্জি লেভেলও বাড়ে। রাতে যোগব্যায়াম করলে ঘুমের সমস্যা হয়। ঘুম ধরতে দেরি হয়, অনিদ্রার সমস্যা বাড়ে। সবসময় সকালবেলাই শরীরচর্চা করা জরুরি।

প্রতিদিন ব্যায়াম করা: শরীরচর্চা করা জরুরি। কিন্তু রোজ নয়। ওয়ার্কআউটের পাশাপাশি শরীরকে বিশ্রামও দিতে হবে। রোজ ব্যায়াম করলে অবশ্যই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। কিন্তু এতে পেশিগুলো পুনরুদ্ধার হওয়ার সময় পায় না। তাই সপ্তাহে একদিন যোগব্যায়াম থেকে দূরে থাকুন। যদি মনে হয়, হাঁটতে পারেন।

অত্যধিক ঘুম: কম ঘুম যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। তেমনই মাত্রাতিরিক্ত ঘুমেও শরীরের বারোটা বাজতে পারে। ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম শরীরের জন্য যথেষ্ট। এর বেশি হলেও হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ওবেসিটির সমস্যা বাড়তে পারে। ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমোলে মেটাবলিজমের উপর প্রভাব পড়ে।

লো-ফ্যাট খাবার খাওয়া: ওজনের কথা মাথায় রেখে চিনি খাওয়া ছেড়েছেন। ফ্যাটের পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সম্পূর্ণরূপে ফ্যাট, কার্বস বাদ দিলে স্বাস্থ্যেরই ক্ষতি। কাজ করার এনার্জি, শক্তির জন্য ফ্যাট, কার্বস দরকার। এগুলো সম্পূর্ণরূপে বাদ দিলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। মেটাবলিজমও ঠিকমতো কাজ করবে না। তখন হাজার চেষ্টা করেও ওজন কমবে না।

ডিমের কুসুম না খাওয়া: ডিমের কুসুম খেলেই ওজন বেড়ে যাবে, কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে—এই ধারণা অনেকেই পুষে রাখেন। পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া ডিমের কুসুম খাওয়া ছাড়বেন না। ডিমের হলুদ অংশে প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। অনেক সময় ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি ওজন বাড়ায়। আর এই পুষ্টিও সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য এবং ওজন কমানোর জন্য জরুরি।