গরম পড়তেই যেন হাঁসফাঁস অবস্থা। সকাল ৮ টা পর্যন্ত কোনও রকম অস্বস্তির অনুভূতি না থাকলেও বেলা যত গড়ায় ততই যেন বাড়তে থাকতে গরম। রোদে বেরনো দায় হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে গরম পড়লে কিন্তু খিদেও কমে যায়। তরল খাবার, হালকা খাবার ছাড়া কোনও কিছুই খেতে ইচ্ছে করে না। পেট ঠান্ডা রাখতে এই সময় ঠান্ডা খাবার, টক জাতীয় খাবার কিন্তু বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়। যা আমাদের শরীরের জন্য ভাল। সেই সঙ্গে কিন্তু ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখে। গরমের দুপুরে প্রায় সব বাড়িতেই টকদই, টকডালের বন্দোবস্ত থাকে। এছাড়াও এই সময়ে সব মানুষই বেশি পরিশ্রম করতে পারেন। যে কারণে ওজন ঝরে তাড়াতাড়ি। এছাড়াও আরও কিছু কারণ রয়েছে। যে কারণে গরম কালে ওজন ঝরে তাড়াতাড়ি।
মেজাজ ভাল থাকে- সূর্যের আলো শরীরে সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সেরোটোনিন হল আদতে সুখী হরমোন। যা আমাদের মেজাজ ভাল রাখে। কিন্তু শীতে আবহাওয়ার কারণেই অধিকাংশ সময় মন খারাপ থাকে। আর এই বিষন্নতা, মন খারাপ ইত্যাদির জন্য ওজন বেশি পরিমাণে বাড়ে। কিন্তু গরমকালে তা হয় না। এই সময় মন খুব ভাল থাকে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি যায়। ভিটামিন ডি শরীরে কর্টিসোলের মাত্রা কমায়। যার ফলে আমাদের শরীরে অনাক্রম্যতা গড়ে ওঠে। ফলে এই সময় শরীরের স্ট্যামিনাও থাকে অনেক বেশি। মর্নিং ওয়াক, এক্সসারসাইজ, সূর্যপ্রণাম কোনও রুটিনেই ছেদ পড়ে না।
বিপাকক্রিয়া ভাল থাকে- গরমের দিনে আমাদের শরীর প্রয়োজনের তুলনায় বেশি গরম থাকে। ফলে শরীরের রক্তকোশগুলি সঠিক পরিমাণ রক্ত পাম্প করে শরীরের সর্বত্র সঞ্চালিত করে। ফলে বিপাক হার বৃদ্ধি পায় এবং খাবার খুব দ্রুত হজম হয়। এছাড়াও এই সময় ওয়ার্ক আউট তুলনায় বেশি হয়। ঘর্মগ্রন্থি বেশি সক্রিয় থাকে। যে কারণে বেশি ক্যালোরিও খরচা হয়।
দিনের সময় বেশি- গরমে দিন দীর্ঘ হয়। ফলে শীতের তুলনায় এই সময় সারাদিন বেশি সক্রিয় থাকা যায়। এদিকে শীতে আবহাওয়ার কারণেই অলসতা ঘিরে ধরে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় কেউই নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে পারেন না। এছাড়াও এই সময় খাওয়া-দাওয়া বেশি হয়। ফলে শীতে ওজন বাড়ে তাড়াতাড়ি। প্রায় সবারই ক্ষেত্রে মার্চ মাসের পর দেখা যায় ওজন কম করে ৩-৪ কেজি বেড়েছে।
কফি-চকোলেট কম খাওয়া হয়- শীত মানেই কাপের পর কাপ কফি, হট চকোলেট, পিৎজা, বার্গার এসব চলতেই থাকে। আর এই সব ফাস্ট ফুড আমাদের ওজন বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও চকোলেট, চিনি দেওয়া কফি বেশি পরিমাণে খেলে ওজন বাড়বেই। তুলনায় গরমে কম খাওয়া-দাওয়া হয়। হালকা, সহজপাচ্য খাবার বেশি খাওয়া হয়। খাবার পরিমাণেও কম খাওয়া হয়। যে কারণে ওজন ঝরে তাড়াতাড়ি।