ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কম খেলে, পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান না করলে এবং অলস জীবনযাপন করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেবেই। অনেক সময় দৈনন্দিন রুটিন পরিবর্তন হলে কিংবা মানসিক চাপ বাড়লেও কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে হয়। মলত্যাগের সময় কষ্ট পেতে কারওই ভাল লাগে না। তাছাড়া দিনের পর দিন এই সমস্যায় ভুগলে ভবিষ্যতে পাইলসে ভুগতে হবে, যা আরও কষ্টকর। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধান আপনার হেঁশেলেই রয়েছে। অবশ্যই ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখবেন। তাছাড়া এমন ৬ ধরনের খাবার রয়েছে, যা হজম স্বাস্থ্যকে উন্নত করে এবং মলকে নরম করে তোলে। কমায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
আমলকি: আমলকির মধ্যে ভিটামিন সি ও ফাইবার রয়েছে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। কাঁচা আমলকি, আমলকির রস কিংবা আমলকির মোরব্বা খেতে পারেন। এর মধ্যে প্রাকৃতিক লাক্সাটিভ উপাদান রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
পাকা পেঁপে: রোজ সকালে এক গ্লাস জল খাওয়ার পাশাপাশি এক বাটি পাকা পেঁপেও খান। পাকা পেঁপেতে থাকা পাপাইন প্রোটিনকে ভাঙতে এবং দ্রুত হজমে সাহায্য করে। মলত্যাগের কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক পাকা পেঁপে।
ডুমুর: তাজা হোক বা শুকনো, ডুমুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। শুকনো ডুমুর সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে এটি খান। ডুমুরের মধ্যে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।
ত্রিফলা: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় ত্রিফলা। আমলকি, হরিতকী ও বহেরার মিশ্রণ ত্রিফলা। এই ত্রিফলা চূর্ণর জল খেলে প্রতিদিন সকালে পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে। পাশাপাশি হজমজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ফ্ল্যাক্স সিড: ঘরোয়া উপায়ে পেট পরিষ্কার করতে রোজ রাতে ফ্ল্যাক্স সিড ভেজানো জল খেতে পারেন। ফ্ল্যাক্স সিডের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফাইবার রয়েছে। এটি পেটের গণ্ডগোল ও কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে মুক্তি দেয়।
টক দই: রোজ এক বাটি করে টক দই খান। টক দইয়ের মধ্যে প্রোবায়োটিক্স রয়েছে, যা অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। এটি হজমে সাহায্য করে এবং প্রতিদিন পেট পরিষ্কারেও সাহায্য করে। অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে টক দই দুর্দান্ত উপকারী।