দেহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়ার পিছনেও অনেক সময় উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড দায়ী। ওষুধের সাহায্যে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমানো যায়। কিন্তু শুধু ওষুধের উপর ভরসা রাখলে চলবে না। রোজকারের জীবনেও কিছু বদল আনা জরুরি। প্রতিদিনের ৬ অভ্যাস নিয়ে সচেতন থাকলেই ইউরিক অ্যাসিডের বাড়বাড়ন্ত আর ভোগাবে না আপনাকে।
কফি থাকুক: সকালে খালি পেটে কফি খাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু ব্রেকফাস্টের পর ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন। নিয়মিত কফি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে যায়। কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদন কমায় এবং কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে।
ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখুন: দেহে ইনসুলিনের ভারসাম্য শুধু ডায়াবেটিসের সমস্যা ডেকে আনে না। অনেক সময় দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে গেলেও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বেড়ে যায়। তখন গাউটের সমস্যা দেখা দেয়। ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে দানাশস্য, সবজি, ডাল ইত্যাদি খান। চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন: পিউরিন ভেঙে দেহে ইউরিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়। সুতরাং, পিউরিন সমৃদ্ধ খাবারের প্রতি রাশ টানতে হবে। সামুদ্রিক খাবার, রেড মিট এড়িয়ে চলুন। শাকসবজি, ফল, দানাশস্য, বাদাম বেশি করে খান।
ভিটামিন সি রাখুন ডায়েটে: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে শরীর থেকে বের করে ভিটামিন সি। লেবুজাতীয় ফল খেলেই দেহে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। এতে ইমিউনিটিও শক্তিশালী হবে।
হাঁটাহাঁটি করুন: শুধু ডায়েট করে সুস্থ থাকা যায় না। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা কমাতে হলে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে হলে শরীরচর্চা জরুরি। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটুন। এতে দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং কিডনির কার্যকারিতা উন্নত হবে।
আমলকির রস খান: সকালে খালি পেটে আমলকির রস পান করুন। এই পানীয়তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রয়েছে, যা দেহ থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে বাইরে বের করে দেয়। পাশাপাশি দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।