বিশ্বজুড়ে ক্রমশ চওড়া থাবা বসাচ্ছে ডায়াবেটিস। প্রতি পাড়ায় প্রতি বাড়িতে একজম করে ডায়াবেটিসের রোগী আছেন। আর দুর্ভাগ্যবশত ডায়াবেটিসের কোনও প্রতিকার নেই। ডায়েট এবং ওষুধের মাধ্যমে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। অগ্ন্যাশয় থেকে তৈরি হয় ইনসুলিন হরমোন। সেই হরমোন কম উৎপাদন হলে বা হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেলে সেখান থেকেই আসে ডায়াবেটিসের মত সমস্যা। সুগার প্রথম থেকেই নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। নইলে সেখান থেকে আসতে পারে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। ঘন, ঘন প্রস্রাব পাওয়া, অতিরিক্ত খিদে-তেষ্টা এসব থাকলে, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হলে, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ভাব থাকলে সেখান থেকে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা জাঁকিয়ে বসতে পারে। NCBI-তে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে যদি বারবার মহিলাদের যোনিতে সংক্রমণ হয়, ইউটিআই এর সমস্যা হয় তাহলে তাঁর অবশ্যই একবার সুগার পরীক্ষা করে দেখা দরকার।
বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে ইউরিন ইনফেকশনের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। আর তাই মেয়েদের প্রথম থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। বছরে যদি দুবার থেকে তিনবার ইউরিন ইনফেকশন হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে। সেই সঙ্গে সুগারের পরীক্ষাও করাতে হবে।
এছাড়াও সমীক্ষা বলছে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে হার্টের সমস্যা তুলনায় বেশি হয়। অনিয়মিত হার্টবিট, বুকে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যান আসলেও কিন্তু একবার সুগার পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
ডায়াবেটিসের সমস্যা হলে মহিলাদের অনিয়মিত মাসিক, বন্ধ্যাত্ব, যৌনতায় অনীহা, যোনিপথ শুষ্ক হয়ে যাওয়া-সহ একাধিক সমস্যা আসে। আর এমন সমস্যা হলেও একবার চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের হরমোনের পরিবর্তন হয়। যে কারণে ওই সময়েও মহিলাদের মধ্যে হরমোনের নানা পরিলর্তন দেখা যায়। আর সুগার বাড়লে মহিলাদের মধ্যে ডিপ্রেশনের সমস্যাও আসে।
যোনির সংক্রমণ আর ইউটিআই এড়াতে রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে জল খান। সুতির অর্ন্তবাস ছাড়া অন্য কোনও কিছু পরবেন না। সেই সঙ্গে প্রস্রাব চেপে রাখবেন না। এতে মূত্রাশয়ের উপর বেশি চাপ পড়ে। সেই সঙ্গে এমন খাবার খান যার মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। সেই সঙ্গে শাকসবজি, কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়া ভাল।